শিরোনাম :
Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo সিরাজগঞ্জের শিশু নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ Logo সিরাজগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে পরিবার অবরুদ্ধ করার অভিযোগ Logo আলোকিত পথপ্রদর্শক: পীরে কামেল শাহসূফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন Logo প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও করে সিরাজগঞ্জের শিপলুর চাঁদাবাজি Logo চাঁদপুর এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মুঃ ইসতিয়াক হাসানের যোগদান Logo কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ সুন্দরবনের দুর্র্ধষ ডাকাত আসাবুর বাহিনীর ২ সহযোগী আটক Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী

সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৭০

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

সুদানে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭০ জনে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে চারটি শিশু ও দুইজন নারীও রয়েছে। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ২৭ জন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারীদের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

খার্তুমের দক্ষিণ বেল্টে অবস্থিত জরুরি প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র (ইআরআর) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর ২০টি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ হামলার সময় খার্তুমের দক্ষিণে অবস্থিত আলজাজিরা রাজ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছিল। সেখানে স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টরা জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যের রাজধানী ওয়াদ মাদানীতে একটি মসজিদে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ৩১ জন নিহত হয়। অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।

চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটির অনেক অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের ফলে আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। মেডিক্যাল দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের এক-তৃতীয়াংশই নারী ও ১০ বছরের কম বয়সী শিশু।

সুদানে এপ্রিল ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত এখনও চলছে। সংঘাতের ফলে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এবং কিছু অনুমান অনুযায়ী এই সংখ্যা দেড় লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এ যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির সংকট তৈরি করেছে এবং দেশটিকে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে নিয়ে এসেছে।

উভয় পক্ষকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা, আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, এবং মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ বা লুট করার ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক

সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৭০

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সুদানে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭০ জনে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে চারটি শিশু ও দুইজন নারীও রয়েছে। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ২৭ জন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারীদের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

খার্তুমের দক্ষিণ বেল্টে অবস্থিত জরুরি প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র (ইআরআর) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর ২০টি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ হামলার সময় খার্তুমের দক্ষিণে অবস্থিত আলজাজিরা রাজ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছিল। সেখানে স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টরা জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যের রাজধানী ওয়াদ মাদানীতে একটি মসজিদে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ৩১ জন নিহত হয়। অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।

চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটির অনেক অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের ফলে আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। মেডিক্যাল দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের এক-তৃতীয়াংশই নারী ও ১০ বছরের কম বয়সী শিশু।

সুদানে এপ্রিল ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত এখনও চলছে। সংঘাতের ফলে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এবং কিছু অনুমান অনুযায়ী এই সংখ্যা দেড় লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এ যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির সংকট তৈরি করেছে এবং দেশটিকে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে নিয়ে এসেছে।

উভয় পক্ষকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা, আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, এবং মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ বা লুট করার ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।