হারিকেন হেলেনের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা। এবার অঙ্গরাজ্যটির দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন, যেটি চলতি বছর উত্তর আটলান্টিক সহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন। ইতোমধ্যে ‘বিপর্যয়কর’ ক্যাটাগরি পাঁচে রূপ নিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টনের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে। ঝড়টি টাম্পা শহরের নিকটবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে। এই মেট্রোপলিটন এলাকাতে প্রায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং শক্তিশালী ঢেউ আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, হারিকেন মিল্টনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। হারিকেনটি রোববার পর্যন্ত ১ ক্যাটাগরিতে ছিল। পরবর্তীতে এটি দ্রুত শক্তি সঞ্চার করে ৪ ক্যাটাগরিতে রুপান্তরিত হয়। সর্বশেষ এটি ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছেছে। ঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে।
এদিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্তিস সতর্ক করে বলেন, ঝড়টি দানবীয় শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
হারিকেন মিল্টন যে অঞ্চলে আঘাত হানবে ওই সব অঞ্চলের সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা ঘরবাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে।
পিনেলাস কাউন্টি গত সোমবার পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়। অন্যান্য কাউন্টির প্রশাসন নিচু এলাকার মানুষদের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আদেশ দিয়েছে।
মিল্টন এ মৌসুমের নবম ঘূর্ণিঝড়। আটলান্টিক মহাসাগরে বেরিলের পর এটি পাঁচ মাত্রার দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।