শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ

জিয়ার মৃত্যু মানতে পারছেন না গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ-রাজীব

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

‘আমার আসলে কিছু বলার মানসিকতা নেই। এমন হঠাৎ করে হয়ে গেছে যে, আমরা কেউ এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি তো খেলা শেষ করে চলে যাওয়ার পর এটা শুনি। (জিয়ার মৃত্যু) বাংলাদেশের দাবার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

একে তো (বয়সে) ছোট, তার ওপর এত তাড়াতাড়ি চলে গেল। আগে তো আমার চলে যাওয়ার কথা ছিল। ’

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মারা যাওয়া নিয়ে কথাগুলো বলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
১৯৮৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়েন নিয়াজ মোর্শেদ। ১৫ বছর পর ২০০২ সালে পরবর্তী গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানকে পায় বাংলাদেশ। সেই জিয়া আজ খেলতে খেলতেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না নিয়াজ।

দাবা ফেডারেশনে চলমান জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে আজ এনামুল হক রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। খেলার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে দ্রুত ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হলেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

জিয়ার আগেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় ভেন্যু ছেড়ে চলে যান নিয়াজ। পথে মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে চমকে ওঠেন তিনি। তাই তো হাসপাতালে এসে একদমই ভেঙে পড়েন এই দাবাড়ু।

জিয়াউর রহমানের মারা যাওয়া নিয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের মতো ব্যথিত গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হক রাজীব।
তিনি বলেন, খেলার সময় জিয়াকে দেখে কোনোভাবেই অসুস্থ মনে হয়নি। এমনকি জিয়া নিজেও কিছু বলেননি। একপর্যায়ে ড্র অফার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন দেননি, সেই প্রশ্নই এখন পোড়াচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘একবারও মনে হয়নি সে (জিয়া) অসুস্থ। একবারের জন্যেও সে কিছুই বলেনি। আমি ভেবেছিলাম ড্র অফার দেব। যেহেতু আমি কালো ঘুটি নিয়ে খেলেছি। তারই একমাত্র সম্ভাবনা ছিল চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইট দেওয়ার। কিন্তু আমি দেইনি। হয়তো ড্র অফার দেওয়া উচিত ছিল। যদি সে ড্র নিত, তাহলে হয়তো এমন কিছু হতো না। যদি সামান্যতম বুঝতাম তাহলে সেরকম চেষ্টা করতাম। ’

‘সে কেবল টেবিলের পাশে কাত হয়ে ছিল। ভাবলাম পানির বোতল (খুঁজছে) বা এরকম কিছু একটা করছে আরকি। তখন আমার চাল ছিল। তারপর আমি তার দিকে তাকালাম। তখনই সে পড়ে গেল। আমি তখন লাফ দিয়ে গিয়ে ধরলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ’

দাবাই ছিল জিয়ার ধ্যানজ্ঞান। এর বাইরে অন্য কোনো পেশায় নিজেকে নিযুক্ত রাখেননি। তার ছেলে তাহসীন তাজওয়ার জিয়াও বর্তমানে খেলছেন ফিদেমাস্টার খেতাব নিয়ে। জিয়ার চলে যাওয়াকে তাই বিশাল ক্ষতি হিসেবে দেখছেন রাজীব, ‘দাবাই তার প্যাশন ছিল। মানুষ তো প্যাশনের কারণেই সবকিছু করে। সবসময়ই সে দাবা নিয়ে থাকতে পছন্দ করত। তার চলে যাওয়া অবশ্যই বিশাল ক্ষতি। ’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

জিয়ার মৃত্যু মানতে পারছেন না গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ-রাজীব

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

‘আমার আসলে কিছু বলার মানসিকতা নেই। এমন হঠাৎ করে হয়ে গেছে যে, আমরা কেউ এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি তো খেলা শেষ করে চলে যাওয়ার পর এটা শুনি। (জিয়ার মৃত্যু) বাংলাদেশের দাবার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

একে তো (বয়সে) ছোট, তার ওপর এত তাড়াতাড়ি চলে গেল। আগে তো আমার চলে যাওয়ার কথা ছিল। ’

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মারা যাওয়া নিয়ে কথাগুলো বলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
১৯৮৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়েন নিয়াজ মোর্শেদ। ১৫ বছর পর ২০০২ সালে পরবর্তী গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানকে পায় বাংলাদেশ। সেই জিয়া আজ খেলতে খেলতেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না নিয়াজ।

দাবা ফেডারেশনে চলমান জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে আজ এনামুল হক রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। খেলার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে দ্রুত ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হলেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

জিয়ার আগেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় ভেন্যু ছেড়ে চলে যান নিয়াজ। পথে মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে চমকে ওঠেন তিনি। তাই তো হাসপাতালে এসে একদমই ভেঙে পড়েন এই দাবাড়ু।

জিয়াউর রহমানের মারা যাওয়া নিয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের মতো ব্যথিত গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হক রাজীব।
তিনি বলেন, খেলার সময় জিয়াকে দেখে কোনোভাবেই অসুস্থ মনে হয়নি। এমনকি জিয়া নিজেও কিছু বলেননি। একপর্যায়ে ড্র অফার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন দেননি, সেই প্রশ্নই এখন পোড়াচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘একবারও মনে হয়নি সে (জিয়া) অসুস্থ। একবারের জন্যেও সে কিছুই বলেনি। আমি ভেবেছিলাম ড্র অফার দেব। যেহেতু আমি কালো ঘুটি নিয়ে খেলেছি। তারই একমাত্র সম্ভাবনা ছিল চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইট দেওয়ার। কিন্তু আমি দেইনি। হয়তো ড্র অফার দেওয়া উচিত ছিল। যদি সে ড্র নিত, তাহলে হয়তো এমন কিছু হতো না। যদি সামান্যতম বুঝতাম তাহলে সেরকম চেষ্টা করতাম। ’

‘সে কেবল টেবিলের পাশে কাত হয়ে ছিল। ভাবলাম পানির বোতল (খুঁজছে) বা এরকম কিছু একটা করছে আরকি। তখন আমার চাল ছিল। তারপর আমি তার দিকে তাকালাম। তখনই সে পড়ে গেল। আমি তখন লাফ দিয়ে গিয়ে ধরলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ’

দাবাই ছিল জিয়ার ধ্যানজ্ঞান। এর বাইরে অন্য কোনো পেশায় নিজেকে নিযুক্ত রাখেননি। তার ছেলে তাহসীন তাজওয়ার জিয়াও বর্তমানে খেলছেন ফিদেমাস্টার খেতাব নিয়ে। জিয়ার চলে যাওয়াকে তাই বিশাল ক্ষতি হিসেবে দেখছেন রাজীব, ‘দাবাই তার প্যাশন ছিল। মানুষ তো প্যাশনের কারণেই সবকিছু করে। সবসময়ই সে দাবা নিয়ে থাকতে পছন্দ করত। তার চলে যাওয়া অবশ্যই বিশাল ক্ষতি। ’