শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

নারীকে বিভ্রস্ত করে নির্যাতন, গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত, এলাকাবাসির প্রতিবাদ

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি-

জমি বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক অসহায় নারীকে বিভ্রস্ত করে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুদ্দুস আলী গ্যাং’র বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌছে দেয়ায় বেলাল নামে এক গ্রাম পুলিশকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) সদর উপজেলার রুহিয়া সেনেহারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস আলী, আনোয়ার হোসেন (পটল), জীবন, মশিউর, মমিন, মাস্টারসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে। পরে রুহিয়া থানা পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, রুহিয়া সেনেহারি এলাকার কামাল হোসেন বসতভিটার জন্য রেস্ট্রিমুলে জমি ক্রয় করে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমির কেউ দাবি না করলেও হঠাৎ একই এলাকার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী ওই জমি নিজের দাবি করে। এসময় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কুদ্দুস আলী ও তার ছেলে জীবনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আহসান হাবীব কামালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে। শুধু তাই নয় তাকে বিভ্রস্ত করে লাঞ্চিত করে তারা।

পরে আহত অবস্থায় ওই নারী বিচারের আশায় রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দিকে রওনা হলে পথে আহত অবস্থায় দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ বেলাল। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসিসহ বেলাল ওই নারীকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কেন ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলো এ কারনে বাড়ি ফেরার পথে গ্রাম পুলিশ বেলালকে পথরোধ করে জীবনসহ কয়েকজন মিলে বেধরক মারপিট করে।

এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্তরা এলাকার সন্ত্রাসী তারা জমি দখল থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন ধরে অন্যায় কাজগুলো করছে প্রশাসনের সামনেই। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই আজ এমন ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার জমিতে আমি পাটখড়ি রাখার খাড়া তৈরী করছিলাম। ওইসময় কুদ্দুস আলী সহ আরো কয়েকজন আমাকে মারপিট করে। ওই সময় একই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন (৪০) আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় এবং ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনি যে বেলাল কেউ তারা মারধর করেছে। আমি কুদ্দুস ও তার ছেলের দৃষ্টমুলক শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত কুদ্দুস আলী পুলিশের হেফাজতে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল কুমার জানান, এ ঘটনায় কুদ্দুস আলীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসরা এলাকার পরিবেশ ও আইনশৃংখলা খারাপ করছে। তাদের দৃষ্টন্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একজন নারীকে বাঁচাতে হাসপাতালে পৌছে দেয়া কি অপরাধ?। এ জন্য গ্রাম পুলিশ বেলালকে মারধর করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত।

তবে অভিযুক্ত কুদ্দুস আলীকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান, মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। উভিযোগ পেলেই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

নারীকে বিভ্রস্ত করে নির্যাতন, গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত, এলাকাবাসির প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি-

জমি বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক অসহায় নারীকে বিভ্রস্ত করে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুদ্দুস আলী গ্যাং’র বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌছে দেয়ায় বেলাল নামে এক গ্রাম পুলিশকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) সদর উপজেলার রুহিয়া সেনেহারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস আলী, আনোয়ার হোসেন (পটল), জীবন, মশিউর, মমিন, মাস্টারসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে। পরে রুহিয়া থানা পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, রুহিয়া সেনেহারি এলাকার কামাল হোসেন বসতভিটার জন্য রেস্ট্রিমুলে জমি ক্রয় করে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমির কেউ দাবি না করলেও হঠাৎ একই এলাকার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী ওই জমি নিজের দাবি করে। এসময় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কুদ্দুস আলী ও তার ছেলে জীবনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আহসান হাবীব কামালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে। শুধু তাই নয় তাকে বিভ্রস্ত করে লাঞ্চিত করে তারা।

পরে আহত অবস্থায় ওই নারী বিচারের আশায় রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দিকে রওনা হলে পথে আহত অবস্থায় দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ বেলাল। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসিসহ বেলাল ওই নারীকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কেন ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলো এ কারনে বাড়ি ফেরার পথে গ্রাম পুলিশ বেলালকে পথরোধ করে জীবনসহ কয়েকজন মিলে বেধরক মারপিট করে।

এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্তরা এলাকার সন্ত্রাসী তারা জমি দখল থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন ধরে অন্যায় কাজগুলো করছে প্রশাসনের সামনেই। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই আজ এমন ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার জমিতে আমি পাটখড়ি রাখার খাড়া তৈরী করছিলাম। ওইসময় কুদ্দুস আলী সহ আরো কয়েকজন আমাকে মারপিট করে। ওই সময় একই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন (৪০) আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় এবং ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনি যে বেলাল কেউ তারা মারধর করেছে। আমি কুদ্দুস ও তার ছেলের দৃষ্টমুলক শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত কুদ্দুস আলী পুলিশের হেফাজতে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল কুমার জানান, এ ঘটনায় কুদ্দুস আলীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসরা এলাকার পরিবেশ ও আইনশৃংখলা খারাপ করছে। তাদের দৃষ্টন্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একজন নারীকে বাঁচাতে হাসপাতালে পৌছে দেয়া কি অপরাধ?। এ জন্য গ্রাম পুলিশ বেলালকে মারধর করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত।

তবে অভিযুক্ত কুদ্দুস আলীকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান, মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। উভিযোগ পেলেই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।