শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

ব্যবসায়ী আনিসের আত্মহত্যা, রিমান্ডে হেনোলাক্সের আমিন ও তাঁর স্ত্রী

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হেনোলাক্স কোম্পানির (আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক ফাতেমা আমিনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির।

আনিসুর রহমান গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দেন। গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম হেনোলাক্স কোম্পানির এমডি নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আসামি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আনিস সাহিত্যচর্চা করতেন। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই ২০১৬ সালে আসামিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১৮ সালে নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেশের বাইরে যান আনিস। ওই সময় আসামিরা তাঁকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। প্রাথমিকভাবে আনিস রাজি না হলেও বেশি মুনাফা, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোসহ নানা প্রলোভন দেখালে তিনি রাজি হন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রথমে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন আনিস। পরে আরও বেশি লভ্যাংশের আশায় ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কোনো লিখিত চুক্তি করেননি তিনি। কয়েক মাস লভ্যাংশও দেওয়া হয় তাঁকে। একপর্যায়ে লভ্যাংশ দেওয়া হয়ে গেলে তিনি লিখিত চুক্তির চাপ দেন। কিন্তু এই দম্পতি চুক্তি করছিলেন না, টাকাও দিচ্ছিলেন না। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি চাপে পড়ে যান। পরে তিনি চেক জালিয়াতিসহ কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলা করেন। সেই দুই মামলা এখনো চলছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

ব্যবসায়ী আনিসের আত্মহত্যা, রিমান্ডে হেনোলাক্সের আমিন ও তাঁর স্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫০:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হেনোলাক্স কোম্পানির (আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক ফাতেমা আমিনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির।

আনিসুর রহমান গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দেন। গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম হেনোলাক্স কোম্পানির এমডি নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আসামি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আনিস সাহিত্যচর্চা করতেন। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই ২০১৬ সালে আসামিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১৮ সালে নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেশের বাইরে যান আনিস। ওই সময় আসামিরা তাঁকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। প্রাথমিকভাবে আনিস রাজি না হলেও বেশি মুনাফা, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোসহ নানা প্রলোভন দেখালে তিনি রাজি হন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রথমে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন আনিস। পরে আরও বেশি লভ্যাংশের আশায় ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কোনো লিখিত চুক্তি করেননি তিনি। কয়েক মাস লভ্যাংশও দেওয়া হয় তাঁকে। একপর্যায়ে লভ্যাংশ দেওয়া হয়ে গেলে তিনি লিখিত চুক্তির চাপ দেন। কিন্তু এই দম্পতি চুক্তি করছিলেন না, টাকাও দিচ্ছিলেন না। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি চাপে পড়ে যান। পরে তিনি চেক জালিয়াতিসহ কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলা করেন। সেই দুই মামলা এখনো চলছে।