শিরোনাম :
Logo মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Logo সিরাজদিখানে মরহুম হাজী জয়নাল আবেদীন মাষ্টার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে খুবিতে প্রকৌশল অধিকার দাবিতে মানববন্ধন Logo চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসফেরত ইসমাইল হোসেন Logo চিত্রা-নড়াইল জেলা ছাত্রকল্যাণ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে আরমান ও বোরহান Logo চাঁদপুর সদরের জনবান্ধব ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে লক্ষ্মীপুরের এডিসি পদে বদলী Logo বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষার আসন বরাদ্দে অনিময়ের অভিযোগ ; প্রশাসন বলছে শিক্ষার্থীদের বুঝার ভুল Logo প্রকাশিত হয়েছে কবি ও কথাসাহিত্যিক নুরুন্নাহার মুন্নির সাহিত্য পত্রিকা ‘আখ্যান’ Logo পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় জমি জবর দখলের অভিযোগ Logo প্রবাসফেরত ইসমাইলের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা ডা. আরিফুল ইসলাম

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • ৮৩৫ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’