মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • ৮৫৯ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’