শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

কালীগঞ্জের চানাচুর তৈরীর কারখানায় আগুন: ভষ্মিভুত হয়েছে সব মালামাল

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চানাচুর তৈরীর কারখানায় আগুন লেগে ভষ্মিভুত হয়েছে সব মালামাল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কমিরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত ভোর ৪ টার দিকে শহরের পূর্ব কলেজ পাড়ার সলেমান হোসেনের সত্বাধিকারী সোনার বাংলা চানাচুর তৈরীর কারখানায়। এ ঘটনায় ওই কারখানার মালিকের প্রায় সাড়ে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই পরিবার দাবি করেছেন। এদিকে পরিবেশ রক্ষায় আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাসাবাড়ির প্রায় সাথেই এই কারখানা। সকল মেশিনারিজ ও উৎপাদিত সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ সলেমান হোসেনের স্বজন অপি মিয়া জানান, গতরাতে চানাচুর তৈরী করে রাত ২ টার দিকে তারা ঘুমাতে যান। হঠাৎ কারখানার একপাশে আগুন ও কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু তার আগেই কারখানার সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই এলাকায় বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে মহল্লার মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল তখন হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। তারা বাইরে এসে আগুন দেখতে পেয়ে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। কারখানার মধ্যে তেল জাতীয় জিনিসপত্র থাকায় মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। আগুনের কুন্ডলী দেখে এলাকার শিশুসহ সকল বয়সী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন,আবাসিক এলাকায় এমন বিপজ্জনক কারখানা স্থাপনের জন্য মহল্লাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকেন। সাইদুর রহমান পিকু নামের অপর প্রতিবেশি জানান, তার ঘরের সামনেই এই চানাচুরের কারখানা। এখানে দিনরাত আগুনের কাজ থাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাদেরকে সব সময় আগুন ঝুঁকিতে বসবাস করতে হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ডঃ মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। তবে আবাসিক এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের বড্ড কষ্ট হয়েছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

কালীগঞ্জের চানাচুর তৈরীর কারখানায় আগুন: ভষ্মিভুত হয়েছে সব মালামাল

আপডেট সময় : ০২:২৩:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চানাচুর তৈরীর কারখানায় আগুন লেগে ভষ্মিভুত হয়েছে সব মালামাল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কমিরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত ভোর ৪ টার দিকে শহরের পূর্ব কলেজ পাড়ার সলেমান হোসেনের সত্বাধিকারী সোনার বাংলা চানাচুর তৈরীর কারখানায়। এ ঘটনায় ওই কারখানার মালিকের প্রায় সাড়ে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই পরিবার দাবি করেছেন। এদিকে পরিবেশ রক্ষায় আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাসাবাড়ির প্রায় সাথেই এই কারখানা। সকল মেশিনারিজ ও উৎপাদিত সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ সলেমান হোসেনের স্বজন অপি মিয়া জানান, গতরাতে চানাচুর তৈরী করে রাত ২ টার দিকে তারা ঘুমাতে যান। হঠাৎ কারখানার একপাশে আগুন ও কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু তার আগেই কারখানার সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই এলাকায় বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে মহল্লার মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল তখন হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। তারা বাইরে এসে আগুন দেখতে পেয়ে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। কারখানার মধ্যে তেল জাতীয় জিনিসপত্র থাকায় মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। আগুনের কুন্ডলী দেখে এলাকার শিশুসহ সকল বয়সী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন,আবাসিক এলাকায় এমন বিপজ্জনক কারখানা স্থাপনের জন্য মহল্লাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকেন। সাইদুর রহমান পিকু নামের অপর প্রতিবেশি জানান, তার ঘরের সামনেই এই চানাচুরের কারখানা। এখানে দিনরাত আগুনের কাজ থাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাদেরকে সব সময় আগুন ঝুঁকিতে বসবাস করতে হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ডঃ মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। তবে আবাসিক এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের বড্ড কষ্ট হয়েছে।