শিরোনাম :
Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo অছাত্র ও ছাত্রলীগের দোসর দিয়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে শহিদ স্মৃতি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর Logo এফডিসির গেইটে রান্না করে গোয়ার সিনেমার প্রচার,নজির গড়লেন নায়ক রাসেল মিয়া Logo কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫ Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ৩১ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ, শিশুকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ Logo বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের স্পে-নিউটার ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু!

কালীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বীর ঐতিহ্যবাহি মাল্টা বাগান

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ইউটিউবে মাল্টা বাগানের ভিডিও দেখে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী (২৫) আহদান এগ্রো প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে বাবার সাথে পরামর্শ করে শুরু করে মাল্টা বাগান’। কৃষি উদ্যোক্তা রাব্বি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্ত্বিপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম মোল্লার বড় ছেলে। রাব্বি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স এন্ড মার্কেটিং এর মাষ্টের্সের ছাত্র। মাল্টা দিয়ে শুরু করলেও ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা আহদান এগ্রো প্রজেক্ট বর্তমানে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন, ১ বিঘা জমিতে কমলা ও চায়না কমলাসহ বাকি জমিতে মৌসুমী ফসলের চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ড্রাগন ও মাল্টা গাছে গত বছর থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। ফল বিক্রি করে আশানুরূপ মুনাফা পাওয়ায় প্রজেক্ট আরো বর্ধিত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এবারে প্রজেক্ট যোগ করতে চাচ্ছেন গবাদী পশুপালন। রাব্বি জানান, ২০১৬ সালে দেড় বিঘা জামিতে লাগানো মাল্টা গাছে মাত্র আড়াই বছর বয়সেই ফল এসেছিল। এবছর ১৫০ টি গাছের প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে। এর মধ্যে কিছুকিছু গাছে ১ মণের বেশি ফল এসেছে। সাধারণত আগষ্ট, সেপ্টেম্বর মাসে ফল বিক্রির উপযোগী হয়। বয়সের সাথে সাথে ফলের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে রাব্বি জানান। বর্তমানে তার প্রজেক্ট ৩ বিঘা জমিতে বারি-১, বারি-২ ও ভিয়েতনামী জাতের মাল্টার চাষ থাকলেও নতুন উদ্যোক্তাদের বারি-১ জাতের মাল্টা চাষের পরামর্শ দেন তিনি। ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মাল্টা গাছ লাগিয়ে ৫ বছরের মাথায় খরচ বাদে কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি জানান। গাছের পরিচর্যা নিয়ে কথা হলে রাব্বি জানান, মাল্টা গাছে অধিক পরিমাণে জৈব সার ও অল্প পরিমাণে ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হয়। খরা মৌসুমে সেচ দিতে হয়। এ ছাড়া বাড়তি কোনো যতœ নিতে হয় না। মাল্টা গাছে সাধারণত ভাইরাস জনিত রোগ, পাতা মোড়ানো ও ছত্রাকজনিত রোগ দেখা যায়। ফল আসলে পিপঁড়া ও মিলিবাগ পোকার আক্রমণ হতে পারে। এইজন্য ক্যারাইটি, কপার অক্সিক্লোরাইড ও সাইফারম্যাথিন নামক কিটনাশক কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা হুমায়ূন কবীর জানান, এ উপজেলায় ৩-৪ বছর ধরে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ হচ্ছে। এ দুটি ফসলই বেশ লাভজনক। বর্তমানে রাব্বিদের মতো অনেক শিক্ষিত যুবক কৃষিতে এগিয়ে আসছে। এরাই আমাদের আলোর দিশারী। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস এ ধরনের কৃষি উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে বিভিন্ন সময়ে ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কালীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বীর ঐতিহ্যবাহি মাল্টা বাগান

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ইউটিউবে মাল্টা বাগানের ভিডিও দেখে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী (২৫) আহদান এগ্রো প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে বাবার সাথে পরামর্শ করে শুরু করে মাল্টা বাগান’। কৃষি উদ্যোক্তা রাব্বি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্ত্বিপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম মোল্লার বড় ছেলে। রাব্বি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স এন্ড মার্কেটিং এর মাষ্টের্সের ছাত্র। মাল্টা দিয়ে শুরু করলেও ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা আহদান এগ্রো প্রজেক্ট বর্তমানে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন, ১ বিঘা জমিতে কমলা ও চায়না কমলাসহ বাকি জমিতে মৌসুমী ফসলের চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ড্রাগন ও মাল্টা গাছে গত বছর থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। ফল বিক্রি করে আশানুরূপ মুনাফা পাওয়ায় প্রজেক্ট আরো বর্ধিত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এবারে প্রজেক্ট যোগ করতে চাচ্ছেন গবাদী পশুপালন। রাব্বি জানান, ২০১৬ সালে দেড় বিঘা জামিতে লাগানো মাল্টা গাছে মাত্র আড়াই বছর বয়সেই ফল এসেছিল। এবছর ১৫০ টি গাছের প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে। এর মধ্যে কিছুকিছু গাছে ১ মণের বেশি ফল এসেছে। সাধারণত আগষ্ট, সেপ্টেম্বর মাসে ফল বিক্রির উপযোগী হয়। বয়সের সাথে সাথে ফলের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে রাব্বি জানান। বর্তমানে তার প্রজেক্ট ৩ বিঘা জমিতে বারি-১, বারি-২ ও ভিয়েতনামী জাতের মাল্টার চাষ থাকলেও নতুন উদ্যোক্তাদের বারি-১ জাতের মাল্টা চাষের পরামর্শ দেন তিনি। ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মাল্টা গাছ লাগিয়ে ৫ বছরের মাথায় খরচ বাদে কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি জানান। গাছের পরিচর্যা নিয়ে কথা হলে রাব্বি জানান, মাল্টা গাছে অধিক পরিমাণে জৈব সার ও অল্প পরিমাণে ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হয়। খরা মৌসুমে সেচ দিতে হয়। এ ছাড়া বাড়তি কোনো যতœ নিতে হয় না। মাল্টা গাছে সাধারণত ভাইরাস জনিত রোগ, পাতা মোড়ানো ও ছত্রাকজনিত রোগ দেখা যায়। ফল আসলে পিপঁড়া ও মিলিবাগ পোকার আক্রমণ হতে পারে। এইজন্য ক্যারাইটি, কপার অক্সিক্লোরাইড ও সাইফারম্যাথিন নামক কিটনাশক কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা হুমায়ূন কবীর জানান, এ উপজেলায় ৩-৪ বছর ধরে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ হচ্ছে। এ দুটি ফসলই বেশ লাভজনক। বর্তমানে রাব্বিদের মতো অনেক শিক্ষিত যুবক কৃষিতে এগিয়ে আসছে। এরাই আমাদের আলোর দিশারী। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস এ ধরনের কৃষি উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে বিভিন্ন সময়ে ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।