সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

আগামী বছর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা।

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট ২০২০
  • ৮০১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আগামী বছর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা। ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে এ খাবার বিতরণ করবে সরকার। এর আওতায়  সপ্তাহে তিন দিন রান্না করা খাবার এবং অপর তিন দিন শুকনো খাবার দেয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মিড ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য ১৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর জমা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মিড ডে মিল কার্যক্রমটি গুরুত্বের সঙ্গে চালু করা হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও কাজ করবে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে মিড ডে মিল চালু করা হবে।

এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় একশ’ চারটি উপজেলায় বিস্কুট পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও চাল, ডাল ও ভোজ্য তেল পাচ্ছে ১৬ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এ বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। এজন্য এ বছরেই সব আয়োজন সম্পন্ন করে আগামী বছর থেকে মিড ডে মিল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রান্নাকরা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এখন আমরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। কার্যক্রমটি যেভাবে এগোচ্ছে আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটি দারুণ সাড়া ফেলবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ এর আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু হবে।

স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে চালু করা হয়। বর্তমানে ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর জাতীয় মিড ডে মিল নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, দেশ হিসেবে আমরা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাথমিকে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে মিড ডে মিল ভালো ভূমিকা পালন করবে। আগামী বছর এর পরিসর বড় হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে মিড ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

আগামী বছর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা।

আপডেট সময় : ০১:৪১:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

আগামী বছর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা। ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে এ খাবার বিতরণ করবে সরকার। এর আওতায়  সপ্তাহে তিন দিন রান্না করা খাবার এবং অপর তিন দিন শুকনো খাবার দেয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মিড ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য ১৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর জমা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মিড ডে মিল কার্যক্রমটি গুরুত্বের সঙ্গে চালু করা হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও কাজ করবে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে মিড ডে মিল চালু করা হবে।

এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় একশ’ চারটি উপজেলায় বিস্কুট পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও চাল, ডাল ও ভোজ্য তেল পাচ্ছে ১৬ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এ বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। এজন্য এ বছরেই সব আয়োজন সম্পন্ন করে আগামী বছর থেকে মিড ডে মিল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রান্নাকরা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এখন আমরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। কার্যক্রমটি যেভাবে এগোচ্ছে আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটি দারুণ সাড়া ফেলবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ এর আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু হবে।

স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে চালু করা হয়। বর্তমানে ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর জাতীয় মিড ডে মিল নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, দেশ হিসেবে আমরা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাথমিকে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে মিড ডে মিল ভালো ভূমিকা পালন করবে। আগামী বছর এর পরিসর বড় হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে মিড ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেয়া হবে।