শিরোনাম :
Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা

কয়লানীতি সংস্কারের পরামর্শ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কয়লানীতি সংস্কার ও বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে নিজস্ব কয়লা দিয়ে জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাজট্রিজ (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ‘২০১৭ সালে ডিসিসিআইয়ের কর্ম পরিকল্পনা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেয় ডিসিসিআই।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে তা মেটাতে নতুন কূপ খননই আমাদের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। আর এ কাজের জন্য বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে সংস্কারও করতে হবে। আর শুধু বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণ এবং সংস্কার করে জ্বালানি চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না। আমাদের কয়লানীতিরও সংস্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জ্বালানি চাহিদা প্রচুর। তাই এ চাহিদা পূরণে নিজস্ব খনির সন্ধান এবং সেখান থেকে জ্বালানি দ্রব্য উত্তোলনে সরকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতেই হবে। আর কীভাবে তা করা যায় এর রূপরেখা তৈরি করতে হবে সরকারকেই।

দেশে আশানুরূপ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না উল্লেখ করে আবুল কাসেম খান বলেন, ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। এটি বাড়াতেও সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে যেখানে ৮৮ শতাংশ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সড়ক পথ ব্যবহার করে, সেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ রেল এবং ৮ শতাংশ মানুষ নদী পথ ব্যবহার করে। নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেল ও নৌ যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

এ ছাড়া সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এবং মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার চাপের কারণে ঢাকা শহরে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। তাই ঢাকাভিত্তিক প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। ঢাকামুখী জনস্রোত বন্ধ করতে অন্যান্য জেলা শহরেও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

একই সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কাজে বেসরকারি অংশগ্রহণ, দ্রুত কয়লা উত্তোলন ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পাবলিক-প্রাইভেট ডায়লগ ফোরামকে শক্তিশালীকরণ ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রিফরম কমিশন প্রতিষ্ঠা, রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিআরটি এবং এমআরটি দ্রুত বাস্তবায়ন, ৮ লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত সম্পন্নকরণ, ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স এ বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নেরও পরামর্শ দেয় ডিসিসিআই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

কয়লানীতি সংস্কারের পরামর্শ !

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কয়লানীতি সংস্কার ও বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে নিজস্ব কয়লা দিয়ে জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাজট্রিজ (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ‘২০১৭ সালে ডিসিসিআইয়ের কর্ম পরিকল্পনা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেয় ডিসিসিআই।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে তা মেটাতে নতুন কূপ খননই আমাদের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। আর এ কাজের জন্য বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে সংস্কারও করতে হবে। আর শুধু বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণ এবং সংস্কার করে জ্বালানি চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না। আমাদের কয়লানীতিরও সংস্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জ্বালানি চাহিদা প্রচুর। তাই এ চাহিদা পূরণে নিজস্ব খনির সন্ধান এবং সেখান থেকে জ্বালানি দ্রব্য উত্তোলনে সরকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতেই হবে। আর কীভাবে তা করা যায় এর রূপরেখা তৈরি করতে হবে সরকারকেই।

দেশে আশানুরূপ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না উল্লেখ করে আবুল কাসেম খান বলেন, ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। এটি বাড়াতেও সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে যেখানে ৮৮ শতাংশ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সড়ক পথ ব্যবহার করে, সেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ রেল এবং ৮ শতাংশ মানুষ নদী পথ ব্যবহার করে। নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেল ও নৌ যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

এ ছাড়া সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এবং মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার চাপের কারণে ঢাকা শহরে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। তাই ঢাকাভিত্তিক প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। ঢাকামুখী জনস্রোত বন্ধ করতে অন্যান্য জেলা শহরেও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

একই সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কাজে বেসরকারি অংশগ্রহণ, দ্রুত কয়লা উত্তোলন ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পাবলিক-প্রাইভেট ডায়লগ ফোরামকে শক্তিশালীকরণ ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রিফরম কমিশন প্রতিষ্ঠা, রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিআরটি এবং এমআরটি দ্রুত বাস্তবায়ন, ৮ লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত সম্পন্নকরণ, ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স এ বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নেরও পরামর্শ দেয় ডিসিসিআই।