মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের Logo মহান বিজয় দিবস আগামীকাল Logo নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির আয়োজিত আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত Logo জামায়াতের নির্বাচনী সভায় পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণ, এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা Logo মিজাফ বিজয় সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব Logo সমাজসেবায় ৯ বছরের পথচলা: জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ভান্ডার ‘বনফুল’ চাঁদপুর শাখা উদ্বোধন Logo প্রাইভেট হাসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন Logo কচুয়ায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জিয়াউর রহমান নিহত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে
হাবিবুল ইসলাম হাবিব : বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ নাজির পাড়ার জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য নিহত জিয়াউর রহমান জিয়া মাদক কারবারি বলে দাবী করছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র-গুলি ও বিপুল ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা জায়। এসময় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে ।

জানা যায় টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুক যুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহতবস্তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

২৫ নভেম্বর রাত ২.৩০ টার দিকে পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারীকে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালী পাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে থানা পুলিশের এসআই শরীফুল (৩৫), কনস্টেবল ছোটন দাশ (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত ১ব্যক্তি,৩টি অস্ত্র ও ২০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ ও রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাদক কারবারিকে মৃত ঘোষণা করে। জিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৪)।

লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩১নং তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ও একাধিক মামলার আসামীকে নিয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমান রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে নিহত জিয়াউর রহমানের পরিবারের দাবী, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে ৩ সন্তানের জনক তাবলীগ জামায়াতে ৪ মাসের জন্য সে ৩ চিল্লায় গমন করেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি মসজিদের তাবলীগ জামায়াত হতে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোষাকধারী কিছু লোক তাকে গত শুক্রবার রাতে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ থাকার পর একদিনের মাথায় কথিত বন্ধুক যুদ্ধের এঘটনা ঘটে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের

টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জিয়াউর রহমান নিহত

আপডেট সময় : ১১:২৫:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
হাবিবুল ইসলাম হাবিব : বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ নাজির পাড়ার জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য নিহত জিয়াউর রহমান জিয়া মাদক কারবারি বলে দাবী করছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র-গুলি ও বিপুল ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা জায়। এসময় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে ।

জানা যায় টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুক যুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহতবস্তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

২৫ নভেম্বর রাত ২.৩০ টার দিকে পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারীকে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালী পাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে থানা পুলিশের এসআই শরীফুল (৩৫), কনস্টেবল ছোটন দাশ (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত ১ব্যক্তি,৩টি অস্ত্র ও ২০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ ও রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাদক কারবারিকে মৃত ঘোষণা করে। জিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৪)।

লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩১নং তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ও একাধিক মামলার আসামীকে নিয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমান রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে নিহত জিয়াউর রহমানের পরিবারের দাবী, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে ৩ সন্তানের জনক তাবলীগ জামায়াতে ৪ মাসের জন্য সে ৩ চিল্লায় গমন করেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি মসজিদের তাবলীগ জামায়াত হতে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোষাকধারী কিছু লোক তাকে গত শুক্রবার রাতে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ থাকার পর একদিনের মাথায় কথিত বন্ধুক যুদ্ধের এঘটনা ঘটে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।