নিউজ ডেস্ক:
৮০টি বাজপাখি বহনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে পুরো বিমানটি। আর সেই বাজপাখিগুলোকে বিমানের যাত্রীদের আসনে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ৮০টি বাজপাখি শিকার করা হয়েছে। শিকার করা এই বাজপাখি বহনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আর এরপরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। খবর বিসিসির।
বিবিসি এর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের একজন যুবরাজ এই ৮০টি বাজপাখি শিকার করেছেন। শিকার করা এই ৮০টি বাজপাখি বহনের জন্য তিনি পুরো একটি বিমান ভাড়া করেন। বাজপাখিগুলোকে বিমানটির যাত্রীদের আসনে ডানা বেঁধে সেখানে বসিয়ে রাখা হয়। এ ছবিগুলো রেডিট-এ প্রকাশ করা হয়।
আহমেত ইয়াসির নামের তুরস্কের একজন ব্যবসায়ী ওই ছবিগুলো পোস্ট করেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, “ওই বিমানের একজন ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে চার সপ্তাহ আগে তিনি ছবিগুলো পেয়েছেন। ওই ক্যাপ্টেন তার বন্ধু। সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাজপাখিগুলো নিয়ে বিমানটি ছেড়ে যায়। ”
তিনি আরও বলেন, “সৌদি আরবের একজন যুবরাজ পাখিগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইটে বাজপাখি বহন প্রায় সময়ই দেখা যায়। একেকটি বাজপাখির মূল্য প্রায় আট হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এই পাখিগুলো অন্য পাখি শিকারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমার পোস্ট করা ছবি পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে যায়। ”
উল্লেখ্য বাজপাখি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম প্রতীক। এ কারণে চোরাচালান রোধের লক্ষ্যে বিমানে বাজপাখি বহনের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে দেশটি।
মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইটে বাজপাখি বহন বৈধ। ইতিহাদ, এমিরেটস বা কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের প্রথম শ্রেণিতে কোনো কোনো যাত্রীকে বাজপাখি নিয়ে চড়তে দেখা একেবারেই সাধারণ ঘটনা।