সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

মোঃ আজিজুর রহমান, বেরোবি প্রতিবেদক:

ডিসেম্বরের শীতের সকালগুলো যেনো আলাদা এক জাদু নিয়ে আসে। ভোরের আলো ফোটার আগেই পুরো ক্যাম্পাসের চারদিক ঢেকে যায় নরম ধূসর সাদাটে কুয়াশার চাদরে। ক্যাম্পাসের একাডেমিক প্রশাসনিক ভবন দূরের গাছগুলো দেখা যায় আবছা, যেন ধূসর কুয়াশার সাথে তারা মেতেছে লুকোচুরির খেলায়। প্রকৃতি যেনো কারও আঁকা জলরঙের ছবিতে মিশে থাকা সবুজের ভেতর সাদা রেশ টেনে দিয়েছে।

শীতের হিমেল বাতাস আর নরম কুয়াশার ঘ্রাণ মিলে তৈরি করে এক অচেনা অথচ আপন অনুভূতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দন্ডায়মান সারি সারি দেবদারু গাছগুলো কুয়াশার সাথে বন্ধুত্ব করে আপন করে জড়িয়ে রেখেছে। তীব্র শীত আর কুয়াশা চাদরে মোড়া সকালে শিক্ষার্থীরা কাঁথা কম্বল ছেড়ে প্রস্তুতি নিতে থাকে ক্লাসের জন্য। কারও হাতে ধোঁয়া ওঠা চা, কারও গলায় উলের মাফলার সব মিলিয়ে শীতের এক অন্যরকম সকাল।

ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস মানেই কেবল কুয়াশা নয় এটা স্মৃতি, অনুভূতি আর নতুন স্বপ্নের সময়ও। চায়ের দোকানে বসে বন্ধুরা তর্ক করছে কেউ বলে সেমিস্টারের চাপ মনে হচ্ছে পাহাড়ের মতো, আবার কেউ বলে শীত না এলে নাকি ক্যাম্পাসের আসল রূপ ধরা দেয় না। হলের করিডোরগুলোও যেনো ভোরের কুয়াশা ধরে রাখে নিজের মতো। খোলা জানালা দিয়ে আসা শীতল হাওয়া পাতা উল্টানোর শব্দের সাথে মিশে যায়। কিছু শিক্ষার্থী আবার সকাল সকাল সেন্ট্রাল খেলার মাঠ ফুটবল মাঠে দৌড়াতে দেখা যায়। ঘাসের মাথায় জমে থাকা মুক্তোর মতো শিশিরের উপর দৌড়ানোর পদছাপ পড়তেই মনে হয় যেনো ধীর লয়ের গানের তাল বদলে গেল। কুয়াশার ভেতর দিন যত এগোয়, সূর্যও ততই নিজেকে প্রকাশ করে। দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসটা উষ্ণ রোদে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। কিন্তু তারপরও সকালের সেই কুয়াশা, সেই রহস্যময় আবহ দিনভর মনের ভেতর ছাপ রেখে যায়। ডিসেম্বর তাই শুধু শীত নয়, এক অন্যরকম অনুভূতির নাম। কুয়াশায় মোড়া ক্যাম্পাস আমাদের প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয় এই জায়গাটাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে নিরাপদ, আর সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতির ঘর। ফুল প্রেমী কিশোরী গায়ে চাদর জড়িয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ডিসেম্বরে ভিসি রোডে শিশির ভেজা শিউলি ফুল কুড়ায় তার প্রিয় মানুষের জন্য।

কবি, লেখক ও গবেষক মো. হাবিবুর রহমান তাঁর “ডিসেম্বর কুয়াশায় নিয়ে” মন্তব্য করেন—ঋতুর পরিবর্তন মানুষের অনুভূতির ভুবনকে দুই বিপরীত দিকে টেনে নিয়ে যায়। গ্রীষ্ম অনেকের কাছে উচ্ছ্বাসের, আবার শীত অনেকের কাছে অনাবিল শান্তির; কারও কাছে উল্টোও হতে পারে। প্রকৃতির এই বৈপরীত্যই মানবজীবনকে রঙিন গল্পে রাঙিয়ে তোলে। তবু শীত নামলেই মনে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা উঁকি দেয়। কুয়াশার ভেজা সকালের যে অনুভূতি, তা শব্দে বর্ণনা করা কঠিন। ভোরের ঘাসে কুয়াশার মুক্তোর মতো জলবিন্দু, হাতে গরম কাপড়, আর পাশে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি—সব মিলিয়ে যেন নান্দনিকতার সূক্ষ্মতম পাঠ। রঙিন ফুল দেখা ও শীতের সুবাস নেওয়া হৃদয়ে বিশেষ এক স্বর্গীয় উল্লাস ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু শীতবস্ত্রহীন মানুষের জন্য একই শীত হয়ে ওঠে কঠিন পরীক্ষার মতো। সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানবহিতৈষী তরুণ-তরুণীরা সমাজে সহমর্মিতার অনন্য উদাহরণ তৈরি করে। মানুষের প্রতি মানুষের এই উষ্ণ দায়বদ্ধতাই শীতকে অর্থবহ করে। ডিসেম্বরের কুয়াশায় মোড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন উত্তরের পাহাড়ি কন্যাকে দেখার রোমাঞ্চ জাগায়। সূর্যের আলো পাবার প্রতীক্ষা কখনো কখনো কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রথম আভা দেখার মতোই বিমুগ্ধ করে। শৈত্যপ্রবাহে সূর্যের দেখা পাওয়া কঠিন হয়, আর যখন আলো বের হয়, তখন সেই আলোয় কুয়াশা পরশপাথরের মতো ঝলমলে দীপ্তি ছড়িয়ে দেয়। ডিসেম্বরের এই কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, ছুটির আমেজ, শীতের পিঠার ঘ্রাণ—সব মিলিয়ে ক্যাম্পাস এক অন্যরকম আবেশে ভরে ওঠে। নিস্তব্ধতার মধ্যেও প্রকৃতি যেন কথা বলে, আলো-ছায়ার খেলা যেন নতুন করে জীবনকে চিনিয়ে দেয়। ক্যাম্পাসজুড়ে বিস্তৃত পলাশ, বকুল, রজনীগন্ধা, জলপাইসহ অসংখ্য গাছগাছালি; পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ফুলের নীরব সৌন্দর্য—সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক সুরেলা সিম্ফনি যেন প্রতিদিন নতুন করে জন্ম নেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কবি হৃদয় বিস্ময়ে ভরে ওঠে—ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস তার কাছে শুধু দৃশ্য নয়, অনুভূতির প্রাণময় এক কবিতা।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন তাবাসসুম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রাখলেই মনে হয় এ যেন শান্তিতে মোড়া এক বিস্তৃত সবুজ প্রাঙ্গণ। সকালের নরম আলোয় একাডেমিক ভবনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে। আর শীতের সকালে চাদর গায়ে কুয়াশায় আবৃত ক্যাম্পাসের শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটতে এক স্বর্গে অনুভূতি জাগে৷ শীতের কুয়াশায় ঢাকা ডিসেম্বরের বেরোবিকে একেবারে কবিতার মতো লাগে চুপচাপ, অথচ জীবন্ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

মোঃ আজিজুর রহমান, বেরোবি প্রতিবেদক:

ডিসেম্বরের শীতের সকালগুলো যেনো আলাদা এক জাদু নিয়ে আসে। ভোরের আলো ফোটার আগেই পুরো ক্যাম্পাসের চারদিক ঢেকে যায় নরম ধূসর সাদাটে কুয়াশার চাদরে। ক্যাম্পাসের একাডেমিক প্রশাসনিক ভবন দূরের গাছগুলো দেখা যায় আবছা, যেন ধূসর কুয়াশার সাথে তারা মেতেছে লুকোচুরির খেলায়। প্রকৃতি যেনো কারও আঁকা জলরঙের ছবিতে মিশে থাকা সবুজের ভেতর সাদা রেশ টেনে দিয়েছে।

শীতের হিমেল বাতাস আর নরম কুয়াশার ঘ্রাণ মিলে তৈরি করে এক অচেনা অথচ আপন অনুভূতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দন্ডায়মান সারি সারি দেবদারু গাছগুলো কুয়াশার সাথে বন্ধুত্ব করে আপন করে জড়িয়ে রেখেছে। তীব্র শীত আর কুয়াশা চাদরে মোড়া সকালে শিক্ষার্থীরা কাঁথা কম্বল ছেড়ে প্রস্তুতি নিতে থাকে ক্লাসের জন্য। কারও হাতে ধোঁয়া ওঠা চা, কারও গলায় উলের মাফলার সব মিলিয়ে শীতের এক অন্যরকম সকাল।

ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস মানেই কেবল কুয়াশা নয় এটা স্মৃতি, অনুভূতি আর নতুন স্বপ্নের সময়ও। চায়ের দোকানে বসে বন্ধুরা তর্ক করছে কেউ বলে সেমিস্টারের চাপ মনে হচ্ছে পাহাড়ের মতো, আবার কেউ বলে শীত না এলে নাকি ক্যাম্পাসের আসল রূপ ধরা দেয় না। হলের করিডোরগুলোও যেনো ভোরের কুয়াশা ধরে রাখে নিজের মতো। খোলা জানালা দিয়ে আসা শীতল হাওয়া পাতা উল্টানোর শব্দের সাথে মিশে যায়। কিছু শিক্ষার্থী আবার সকাল সকাল সেন্ট্রাল খেলার মাঠ ফুটবল মাঠে দৌড়াতে দেখা যায়। ঘাসের মাথায় জমে থাকা মুক্তোর মতো শিশিরের উপর দৌড়ানোর পদছাপ পড়তেই মনে হয় যেনো ধীর লয়ের গানের তাল বদলে গেল। কুয়াশার ভেতর দিন যত এগোয়, সূর্যও ততই নিজেকে প্রকাশ করে। দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসটা উষ্ণ রোদে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। কিন্তু তারপরও সকালের সেই কুয়াশা, সেই রহস্যময় আবহ দিনভর মনের ভেতর ছাপ রেখে যায়। ডিসেম্বর তাই শুধু শীত নয়, এক অন্যরকম অনুভূতির নাম। কুয়াশায় মোড়া ক্যাম্পাস আমাদের প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয় এই জায়গাটাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে নিরাপদ, আর সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতির ঘর। ফুল প্রেমী কিশোরী গায়ে চাদর জড়িয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ডিসেম্বরে ভিসি রোডে শিশির ভেজা শিউলি ফুল কুড়ায় তার প্রিয় মানুষের জন্য।

কবি, লেখক ও গবেষক মো. হাবিবুর রহমান তাঁর “ডিসেম্বর কুয়াশায় নিয়ে” মন্তব্য করেন—ঋতুর পরিবর্তন মানুষের অনুভূতির ভুবনকে দুই বিপরীত দিকে টেনে নিয়ে যায়। গ্রীষ্ম অনেকের কাছে উচ্ছ্বাসের, আবার শীত অনেকের কাছে অনাবিল শান্তির; কারও কাছে উল্টোও হতে পারে। প্রকৃতির এই বৈপরীত্যই মানবজীবনকে রঙিন গল্পে রাঙিয়ে তোলে। তবু শীত নামলেই মনে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা উঁকি দেয়। কুয়াশার ভেজা সকালের যে অনুভূতি, তা শব্দে বর্ণনা করা কঠিন। ভোরের ঘাসে কুয়াশার মুক্তোর মতো জলবিন্দু, হাতে গরম কাপড়, আর পাশে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি—সব মিলিয়ে যেন নান্দনিকতার সূক্ষ্মতম পাঠ। রঙিন ফুল দেখা ও শীতের সুবাস নেওয়া হৃদয়ে বিশেষ এক স্বর্গীয় উল্লাস ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু শীতবস্ত্রহীন মানুষের জন্য একই শীত হয়ে ওঠে কঠিন পরীক্ষার মতো। সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানবহিতৈষী তরুণ-তরুণীরা সমাজে সহমর্মিতার অনন্য উদাহরণ তৈরি করে। মানুষের প্রতি মানুষের এই উষ্ণ দায়বদ্ধতাই শীতকে অর্থবহ করে। ডিসেম্বরের কুয়াশায় মোড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন উত্তরের পাহাড়ি কন্যাকে দেখার রোমাঞ্চ জাগায়। সূর্যের আলো পাবার প্রতীক্ষা কখনো কখনো কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রথম আভা দেখার মতোই বিমুগ্ধ করে। শৈত্যপ্রবাহে সূর্যের দেখা পাওয়া কঠিন হয়, আর যখন আলো বের হয়, তখন সেই আলোয় কুয়াশা পরশপাথরের মতো ঝলমলে দীপ্তি ছড়িয়ে দেয়। ডিসেম্বরের এই কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, ছুটির আমেজ, শীতের পিঠার ঘ্রাণ—সব মিলিয়ে ক্যাম্পাস এক অন্যরকম আবেশে ভরে ওঠে। নিস্তব্ধতার মধ্যেও প্রকৃতি যেন কথা বলে, আলো-ছায়ার খেলা যেন নতুন করে জীবনকে চিনিয়ে দেয়। ক্যাম্পাসজুড়ে বিস্তৃত পলাশ, বকুল, রজনীগন্ধা, জলপাইসহ অসংখ্য গাছগাছালি; পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ফুলের নীরব সৌন্দর্য—সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক সুরেলা সিম্ফনি যেন প্রতিদিন নতুন করে জন্ম নেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কবি হৃদয় বিস্ময়ে ভরে ওঠে—ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস তার কাছে শুধু দৃশ্য নয়, অনুভূতির প্রাণময় এক কবিতা।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন তাবাসসুম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রাখলেই মনে হয় এ যেন শান্তিতে মোড়া এক বিস্তৃত সবুজ প্রাঙ্গণ। সকালের নরম আলোয় একাডেমিক ভবনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে। আর শীতের সকালে চাদর গায়ে কুয়াশায় আবৃত ক্যাম্পাসের শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটতে এক স্বর্গে অনুভূতি জাগে৷ শীতের কুয়াশায় ঢাকা ডিসেম্বরের বেরোবিকে একেবারে কবিতার মতো লাগে চুপচাপ, অথচ জীবন্ত।