শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

মজেছেন পরকীয়ায় ? তাহলে জেনে রাখুন…

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৮২৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এক্সট্রা ম্যারিটাল। নামেই লুকিয়ে প্রবল বঞ্চনা। জীবনের সবটুকু দিয়েও আপনি থেকে যাবেন ‘এক্সট্রা’ হয়েই। তবু মানুষ স্রোতে ভাসে। বলা ভালো উল্টো স্রোতে। আপনি জানেন ওর  ঘরে স্ত্রী রয়েছে। যার বয়স আপনার বয়সেরই কাছাকাছি। কিংবা আপনার প্রেমিকার স্বামী হয়তো আপনারই সহকর্মী। এ সম্পর্কে হাজারো ঝক্কি। প্রচুর রিস্ক। পরিণতিও খুব একটা সুখকর হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। তবু কোনো এক অদৃশ্য টানে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলেছেন আপনারা। তবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার রাখতে গেলে অবশ্যই যেন মাথায় থাকে এই কথাগুলি-

১. আর পাঁচটা কাপলের থেকে আপনারা কিন্তু সত্যিই আলাদা। আপনাদের সঙ্গে অলরেডি আরো একটা জীবন জড়িয়ে রয়েছে। শুধু আইন মেনেই নয়, দুনিয়াকে সামনে রেখে তাকে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে একদিন স্বীকার করেছিলেন। এবং এখনও সেই সম্পর্ক বর্তমান। যেকোনো ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকেই কিন্তু প্রথমে গুরুত্ব দেবে আপনার পার্টনার। এবং সেটি আপনাকে মানিয়ে নিতেই হবে।

২. এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার মানেই অনেক বাঁচিয়ে চলতে হবে আপনাকে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কিছু গিফট করলেন। অথচ বিলটা রেখে দিলেন নিজের কাছে। শুধুমাত্র ছেলেরাই নয়, লিগাল পার্টনারের কাছে ফেঁসে যেতে পারেন মেয়েরাও। গোপন স্থানে সঙ্গিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন। শার্টে লেগে লিপস্টিকের দাগ। ভরপেট্টা কেস খাবেন কিন্তু। তাই মাথায় রাখুন, আপনাদের অ্যাফেয়ারে সাবধানী হওয়াটা কিন্তু খুব জরুরি।

৩. এ ধরনের সম্পর্কে থাকতে গেলে আপনাকে নানা জায়গা থেকে নানানরকমের কথা শুনতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের। কেউ কেউ সামনে আপনাকে স্বাধীনচেতা মেয়ে বলে উৎসাহ যোগাবে, আড়ালে দেখবেন তারাই কেমন কূটকচালি করবে। যে কোনোরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বা কথা শোনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। তখন কেঁদে ভাসালে কিন্তু চলবে না।

৪. সম্পর্কে মনের পিছু পিছু তো শরীরও আসবে। কীভাবে সামাল দেবেন নিজেই ভেবে রাখুন। একটা কথা খালি মাথায় রাখবেন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিন্তু দিনের শেষে স্ত্রী বা স্বামীর কাছেই ফিরে যাবে। আপনাকে কিন্তু ফিরতে হবে খালি হাতেই। তাই শারীরিক সম্পর্কে জড়ালেও এমন কিছু করে বসবেন না যার জন্য বেকার ঝামেলায় পড়তে হয়।

৫. প্রচুর মিথ্যে বলতে হবে কিন্তু। ঘরে বাইরে ফোয়ারা ছোটাতে হবে মিথ্যের। সততাকে শিকেয় তুলে নামতে হবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারের ময়দানে। আপনার ছোট্ট মেয়ে আজ জেদ ধরেছে, বাবা অফিস থেকে ফিরলে খাবে। গিন্নি ফোনে জানিয়ে রেখেছেন সে কথা। এদিকে আপনি তো সঙ্গিনীকে আগেই কথা দিয়ে রেখেছেন, ডিনার সারবেন একসঙ্গে। সেও রেডি। সন্ধে থেকে খান তিরিশেক টেক্সটও করেছে কী পড়বে, কী খাবে তা নিয়ে। সামলান এবার!

৬. তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুই নৌকায় পা দিয়ে কিন্তু বেশিদিন চলা যায় না। হয় ডুবতে হয়, নয়তো পা তুলে নিতে হয় কোনো একটা নৌকা থেকে। আপনাকেও কিন্তু তা করতে হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকুন প্রথম থেকেই। নিজেকে কষ্ট পেতে হতে পারে। আবার অন্য কারো কষ্টের কারণও হতে পারেন আপনি। ভাল-মন্দ যাই হোক, মুখোমুখি কিন্তু দাঁড়াতেই হবে।

তাই এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে বহুবার ভাবুন। পারত পক্ষে এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

মজেছেন পরকীয়ায় ? তাহলে জেনে রাখুন…

আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এক্সট্রা ম্যারিটাল। নামেই লুকিয়ে প্রবল বঞ্চনা। জীবনের সবটুকু দিয়েও আপনি থেকে যাবেন ‘এক্সট্রা’ হয়েই। তবু মানুষ স্রোতে ভাসে। বলা ভালো উল্টো স্রোতে। আপনি জানেন ওর  ঘরে স্ত্রী রয়েছে। যার বয়স আপনার বয়সেরই কাছাকাছি। কিংবা আপনার প্রেমিকার স্বামী হয়তো আপনারই সহকর্মী। এ সম্পর্কে হাজারো ঝক্কি। প্রচুর রিস্ক। পরিণতিও খুব একটা সুখকর হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। তবু কোনো এক অদৃশ্য টানে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলেছেন আপনারা। তবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার রাখতে গেলে অবশ্যই যেন মাথায় থাকে এই কথাগুলি-

১. আর পাঁচটা কাপলের থেকে আপনারা কিন্তু সত্যিই আলাদা। আপনাদের সঙ্গে অলরেডি আরো একটা জীবন জড়িয়ে রয়েছে। শুধু আইন মেনেই নয়, দুনিয়াকে সামনে রেখে তাকে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে একদিন স্বীকার করেছিলেন। এবং এখনও সেই সম্পর্ক বর্তমান। যেকোনো ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকেই কিন্তু প্রথমে গুরুত্ব দেবে আপনার পার্টনার। এবং সেটি আপনাকে মানিয়ে নিতেই হবে।

২. এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার মানেই অনেক বাঁচিয়ে চলতে হবে আপনাকে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কিছু গিফট করলেন। অথচ বিলটা রেখে দিলেন নিজের কাছে। শুধুমাত্র ছেলেরাই নয়, লিগাল পার্টনারের কাছে ফেঁসে যেতে পারেন মেয়েরাও। গোপন স্থানে সঙ্গিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন। শার্টে লেগে লিপস্টিকের দাগ। ভরপেট্টা কেস খাবেন কিন্তু। তাই মাথায় রাখুন, আপনাদের অ্যাফেয়ারে সাবধানী হওয়াটা কিন্তু খুব জরুরি।

৩. এ ধরনের সম্পর্কে থাকতে গেলে আপনাকে নানা জায়গা থেকে নানানরকমের কথা শুনতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের। কেউ কেউ সামনে আপনাকে স্বাধীনচেতা মেয়ে বলে উৎসাহ যোগাবে, আড়ালে দেখবেন তারাই কেমন কূটকচালি করবে। যে কোনোরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বা কথা শোনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। তখন কেঁদে ভাসালে কিন্তু চলবে না।

৪. সম্পর্কে মনের পিছু পিছু তো শরীরও আসবে। কীভাবে সামাল দেবেন নিজেই ভেবে রাখুন। একটা কথা খালি মাথায় রাখবেন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিন্তু দিনের শেষে স্ত্রী বা স্বামীর কাছেই ফিরে যাবে। আপনাকে কিন্তু ফিরতে হবে খালি হাতেই। তাই শারীরিক সম্পর্কে জড়ালেও এমন কিছু করে বসবেন না যার জন্য বেকার ঝামেলায় পড়তে হয়।

৫. প্রচুর মিথ্যে বলতে হবে কিন্তু। ঘরে বাইরে ফোয়ারা ছোটাতে হবে মিথ্যের। সততাকে শিকেয় তুলে নামতে হবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারের ময়দানে। আপনার ছোট্ট মেয়ে আজ জেদ ধরেছে, বাবা অফিস থেকে ফিরলে খাবে। গিন্নি ফোনে জানিয়ে রেখেছেন সে কথা। এদিকে আপনি তো সঙ্গিনীকে আগেই কথা দিয়ে রেখেছেন, ডিনার সারবেন একসঙ্গে। সেও রেডি। সন্ধে থেকে খান তিরিশেক টেক্সটও করেছে কী পড়বে, কী খাবে তা নিয়ে। সামলান এবার!

৬. তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুই নৌকায় পা দিয়ে কিন্তু বেশিদিন চলা যায় না। হয় ডুবতে হয়, নয়তো পা তুলে নিতে হয় কোনো একটা নৌকা থেকে। আপনাকেও কিন্তু তা করতে হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকুন প্রথম থেকেই। নিজেকে কষ্ট পেতে হতে পারে। আবার অন্য কারো কষ্টের কারণও হতে পারেন আপনি। ভাল-মন্দ যাই হোক, মুখোমুখি কিন্তু দাঁড়াতেই হবে।

তাই এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে বহুবার ভাবুন। পারত পক্ষে এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো।