মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৫:১০:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু এখন চাচ্ছে তারা ফেরত যাক। বাংলাদেশে মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াহিদ আহমেদ শামসেলদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মিসরের রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি, এখন আমরা চাচ্ছি তারা ফেরত যাক।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে মিয়ানমার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কিন্তু মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিবিরের গাদাগাদি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এসব রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য একটি জায়গা তৈরি করছে যেখানে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা একটু ভালো পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিসরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সর্Ÿোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কারণ, স্বাধীনতা লাভের পর আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসরই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ঐতিহাসিক মিসর সফরের প্রসঙ্গ স্মরণ করে বলেন, সেই সফরেই দুই দেশের সম্পর্কের ভিত রচনা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০০৯ সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁর মিসর সফরের কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতাকে আরো বৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মিসর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের একটি বৈদ্যুতিক তার কারখানা প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত আছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরও প্রশংসা করেন।
মিসরের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মিসরের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং বলেন, সরকার এজন্য দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি রাষ্টদূতকে বাংলাদেশে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সবরকমের সাহায্য এবং সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১০:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু এখন চাচ্ছে তারা ফেরত যাক। বাংলাদেশে মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াহিদ আহমেদ শামসেলদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মিসরের রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি, এখন আমরা চাচ্ছি তারা ফেরত যাক।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে মিয়ানমার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কিন্তু মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিবিরের গাদাগাদি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এসব রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য একটি জায়গা তৈরি করছে যেখানে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা একটু ভালো পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিসরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সর্Ÿোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কারণ, স্বাধীনতা লাভের পর আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসরই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ঐতিহাসিক মিসর সফরের প্রসঙ্গ স্মরণ করে বলেন, সেই সফরেই দুই দেশের সম্পর্কের ভিত রচনা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০০৯ সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁর মিসর সফরের কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতাকে আরো বৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মিসর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের একটি বৈদ্যুতিক তার কারখানা প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত আছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরও প্রশংসা করেন।
মিসরের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মিসরের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং বলেন, সরকার এজন্য দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি রাষ্টদূতকে বাংলাদেশে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সবরকমের সাহায্য এবং সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।