শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৭০৬ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাশের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ ও তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বলনের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পূজা উদযাপন পরিষদ।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মীয় উপাসনালয়ে (অস্থায়ী) এ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিতরা উভয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

প্রার্থনা সভায় ধূপ ও প্রদীপ প্রজ্বলন আর নিত্য উপাসনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করা হয়। পরে বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ ও মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে শহীদ শরীফ ওসমান হাদি এবং দীপু চন্দ্র দাশের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের স্মরণে সবুজ চত্বরে অস্থায়ী মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায়সহ সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থনা সভায় বক্তব্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় বলেন, “শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি সবসময় অন্যায় ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে মানুষ আজ বুঝতে পারছে তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং যারা পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৮ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাশ নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে উগ্র তৌহিদী জনতা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে এভাবে কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। পরে ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকায় পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাশকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তাঁকে কারখানার বাইরে মারধর করা হয়, পরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয় এবং মরদেহে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা

আপডেট সময় : ০৮:১০:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাশের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ ও তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বলনের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পূজা উদযাপন পরিষদ।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মীয় উপাসনালয়ে (অস্থায়ী) এ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিতরা উভয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

প্রার্থনা সভায় ধূপ ও প্রদীপ প্রজ্বলন আর নিত্য উপাসনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করা হয়। পরে বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ ও মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে শহীদ শরীফ ওসমান হাদি এবং দীপু চন্দ্র দাশের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের স্মরণে সবুজ চত্বরে অস্থায়ী মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায়সহ সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থনা সভায় বক্তব্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় বলেন, “শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি সবসময় অন্যায় ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে মানুষ আজ বুঝতে পারছে তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং যারা পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৮ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাশ নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে উগ্র তৌহিদী জনতা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে এভাবে কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। পরে ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকায় পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাশকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তাঁকে কারখানার বাইরে মারধর করা হয়, পরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয় এবং মরদেহে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।