ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল শনিবার যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কূটনীতিকরা নতুন আলোচনার জন্য মিয়ামিতে একত্রিত হয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়াকে রাজি করানোর ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে এবং তিনি ওয়াশিংটনকে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে এটি বাস্তবায়িত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে স্পষ্টভাবে বলা উচিত: যদি কূটনীতিতে না হয়, তাহলে পূর্ণ চাপ থাকবে, পুতিন এখনও সেই ধরণের চাপ অনুভব করেননি যা থাকা উচিত। তিনি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ এবং সমগ্র রাশিয়ান অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে এ কথা বলেন।
ইউক্রেনীয় নেতার মন্তব্য এমন এক সময় এলো যখন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিরিল দিমিত্রিভ মায়ামিতে পৌঁছেছেন। সেখানে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের মধ্যস্থতায় আলোচনার জন্য ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ আলোচনার জন্য একত্রিত হয়েছে।
দিমিত্রিভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা গঠনমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ‘এগুলো আজ শুরু হয়েছে এবং অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীকালও অব্যাহত থাকবে।’
ট্রাম্পের দূতগণ এমন একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, তবে কিয়েভের সম্ভবত কিছু ভূমি ছেড়ে দিতে হবে, যা অনেক ইউক্রেনীয় ক্ষুব্ধ।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত শুক্রবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে কোনও চুক্তিতে বাধ্য করা হবে না। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন এতে সম্মত না হলে কোনও শান্তি চুক্তি হবে না।’ তিনি আরও বলেন যে তিনি শনিবার তার নিজ শহর মিয়ামিতে আলোচনায় যোগ দিতে পারেন।
ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান দূতগণ শেষবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি আলোচনা করেন গত জুলাই মাসে ইস্তাম্বুলে, যার ফলে বন্দী বিনিময় হয়েছিল কিন্তু অন্য কিছু ঘটেনি।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।























































