শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

চিরিরবন্দরে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবার রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে সার ও বীজের সংকট না থাকায় উপজেলার প্রতিটি মাঠে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। প্রতিটি মাঠে মাঠে এখন কৃষকেরা রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল¬তার সাথে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ১ শত ৭৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে স্বরণ কালের ভয়াবহ বর্ন্যায় শুরুতে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বর্তমানে বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ২ শত ১৫ হেক্টর জমি যা গত বছরের তুলনা বেশী।
সাতনালা গ্রামের ধান চাষী সামাদ বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যন্য জাতের তুলুুনায় কাটারী ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এজন্য কাটারী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ। একই কথা বলেন আলোকডিহি গ্রামের ধান চাষী নুরজামান ।
নশরতপুর ইউনিয়নের মাঠে ধান কাটার সময় নালীপাড়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি স্বর্ণা-মামুনসহ এ জাতের ধান তারা বিঘা প্রতি ২৩ থেকে ২৫ মণ হারে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকায়। তিনি আরো জানান ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোন সমস্যাও হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল মাড়াই সু-সম্পূর্ন করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চিরিরবন্দরে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবার রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে সার ও বীজের সংকট না থাকায় উপজেলার প্রতিটি মাঠে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। প্রতিটি মাঠে মাঠে এখন কৃষকেরা রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল¬তার সাথে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ১ শত ৭৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে স্বরণ কালের ভয়াবহ বর্ন্যায় শুরুতে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বর্তমানে বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ২ শত ১৫ হেক্টর জমি যা গত বছরের তুলনা বেশী।
সাতনালা গ্রামের ধান চাষী সামাদ বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যন্য জাতের তুলুুনায় কাটারী ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এজন্য কাটারী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ। একই কথা বলেন আলোকডিহি গ্রামের ধান চাষী নুরজামান ।
নশরতপুর ইউনিয়নের মাঠে ধান কাটার সময় নালীপাড়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি স্বর্ণা-মামুনসহ এ জাতের ধান তারা বিঘা প্রতি ২৩ থেকে ২৫ মণ হারে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকায়। তিনি আরো জানান ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোন সমস্যাও হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল মাড়াই সু-সম্পূর্ন করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।