আগামী ৭ দিনের মধ্যে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোট।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের সদস্য এস এম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, মুবাশ্বির আমিন, বাঁধন বিশ্বাস স্পর্শসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথমে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী অবরোধ শুরু করলেও পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন। দীর্ঘসময় সড়ক অবরোধ থাকায় যাত্রী ও চালকরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়লেও, অনেকেই শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে সমর্থন জানান। তবে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
এক বাসযাত্রী বলেন, “কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক এখন দুর্ভোগের প্রতীক। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ। তাই শিক্ষার্থীদের এই দাবি ন্যায্য।”
আন্দোলনকারীরা জানান, খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড় অংশ এখন “মরণফাঁদে” পরিণত হয়েছে। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এর আগে একাধিক আশ্বাস দেওয়া হলেও সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। তারা বলেন, “আর কোনো টালবাহানা নয়—এবার দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা রাজপথেই থাকব।”
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের সদস্য এস এম সুইট জানান, প্রশাসন এক সপ্তাহের মধ্যে খানাখন্দ পূরণ ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া ২২ অক্টোবরের পর থেকে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
তিনি জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা এই রাস্তা ব্যবহার না করায় ভোগান্তি টের পান না। আমরা সতর্ক করছি—এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু না হলে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
এসময় সকল ছাত্র সংগঠনকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যারা এই কাজে সাহস দেখাতে পারবেন না, অন্তত বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।”
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ অংশ দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অতীতেও শিক্ষার্থীরা সংস্কারের দাবি জানালেও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।