৫৪ বছরের বিকল পদ্ধতি দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়-হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেছেন, পুরনো বন্দবস্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশে প্রহসনের কোনো নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা হলে জনগণ তা রুখে দেবে। সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে। পিআরের বিকল্প কোনো সিস্টেম জনগণ মানতে প্রস্তুত নয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে- আগামি জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন করা, আগামি জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিয়ে অবিলম্বে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। পিআর নিয়ে কোনো প্রকার টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। ৫৪ বছরের বিকল পদ্ধতি দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। পুরনো এ ভঙ্গুর পদ্ধতি দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা হলে জনগণ তা রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ করছি উপদেষ্টা পরিষদের কারো কারো বক্তব্য পক্ষপাত ফুটে ওঠছে। আবার নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যও স্পষ্টতর পক্ষপাতমূলক। এসব ঝঞ্জাল বহাল রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে না। প্রয়োজনীয় রাস্ট্রসংস্কার ও গণহত্যার বিচার এবং বিচারচলাকালীন ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, যুবনেতা মাওলানা ইমরান হোসাইন, শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ, সদর যুবনেতা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।