সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে প্রবেশের অনুমতি ঘুষের বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ভোমরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে। কয়রার জেলে মো. রজব আলী (৩২) সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে কয়রা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে রজব আলী জানান, ওসি আব্দুল হাকিম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রতি দশ দিনে (এক গোন) মাছ ধরার অনুমতির নামে প্রতি নৌকা থেকে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিতেন। প্রায় ১০টি জেলে নৌকা নিয়মিত ওই টাকা দিত। পরবর্তীতে বেশি টাকা নেওয়া অন্য দালালচক্রকে সুযোগ দিতে গিয়ে পুরনো জেলেদের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান।
রজব আলীর অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর আগাম টাকা নেওয়ার পরও ওসি সাতজন জেলেকে আটক করে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন এবং আরও টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ৫ অক্টোবর তাদের বন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তাদের নৌকা থেকে প্রায় পাঁচশ কেজি মাছ জব্দ হলেও আদালতে মাত্র ৫০ কেজি দেখিয়ে বাকি মাছ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন,ওসি হাকিম ঘুষ, প্রতারণা ও হয়রানির মাধ্যমে গরিব জেলেদের পথে বসিয়ে দিচ্ছেন।
রজব আলী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও আটক জেলেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।