মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে না নিয়ে চাঁদপুরে
মায়ের মামলায় নয় মাসের অন্ত:সত্ত্বা তানহা ও তার স্বামীকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ।
ভালোবাসা কখনো মুক্তি দেয়, কখনো আবার জড়িয়ে ফেলে মামলার ফাঁদে। চাঁদপুরে এমনই এক গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আরিয়ান গাজী শাহাদাত ও তাঁর নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানহা আক্তার। প্রেম করে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই ভালোবাসার কাহিনি আজ পরিণত হয়েছে আইনি জটিলতায়।
তানহার মা নাজমা বেগম সৌদি প্রবাসী।
তিনি শুরু থেকেই এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। মেয়েকে ফিরে পেতে তিনি ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় আদালতের আদেশে তানহাকে উদ্ধার করে মায়ের জিম্মায় পাঠানো হয়। কিছুদিন পরে মা মেয়েকে নিয়ে সৌদি গিয়ে আবারও চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ফিরে এসেই তানহা আবারও তাঁর প্রিয় মানুষ আরিয়ানের কাছে ফিরে যায়।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মা নাজমা বেগম দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তে নেয় সিআইডি। পরবর্তীতে সিআইডি অভিযান চালিয়ে হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে আরিয়ান ও তাঁর নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানহাকে আটক করে।
তানহাকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা শেষে আদালতে পাঠানো হয়। আরিয়ান গাজী শাহাদাতকেও আদালতের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই দম্পতির বাড়ি চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আশিকাঠি এলাকায়। অন্যদিকে, আরিয়ানের পরিবার দাবি করেছে, তানহা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় থাকতেই তাঁর মা শিশুটিকে নষ্ট করে দেয়।
এরপর তানহা আবারও পালিয়ে এসে আরিয়ানের কাছে ফিরে আসে এবং এবার নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের অভিযোগ তানহার মা আবারও সন্তানের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে ও একই ঘটনার জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুরো পরিবারকে হয়রানি করছে।