নিউজ ডেস্ক:
স্বামী-স্ত্রী মাসে অন্তত একবার রাত্রীকালীন ‘ডেটিং’ করলে ‘ডিভোর্স’-এর প্রবণতা কমে যাবে। ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ম্যারেজ ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর হ্যারি বেনসন এবং ক্যান্টারবেরি-র ‘লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি’-র ‘সোশ্যাল রিসার্চ’-এর অধ্যাপক স্টিফেন ম্যাকের নেতৃত্বে গবেষণার ফলাফলে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ৯৯৬৯ জন দম্পতির উপরে এই গবেষণা চলে। এর মধ্যে ১১ শতাংশকে সপ্তাহে একবার করে ‘ডেট নাইট’-এ পাঠানো হয়। ৩০ শতাংশ দম্পতিকে মাসে একবার করে ‘ডেট নাইট’-এ পাঠানো হয়। ২৩ শতাংশ দম্পতিকে অনিয়মিতভাবে একবার করে ‘ডেট নাইট’-এ পাঠানো হয়। আর ৩৬ শতাংশ দম্পতিকে কখনই ‘ডেট নাইট’-এ পাঠানো হয়নি।
দেখা যায় যারা প্রত্যেক মাসেই নিয়মিত একদিন করে ‘ডেট নাইট’ করেছেন তাদের বিবাহিত জীবন সুখের এবং টিকে আছে। কিন্তু বাকি যারা ‘ডেট নাইট’-এ গেছেন বা যাননি, তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব কোনোভাবেই কমেনি।
গবেষকদের মতে, স্বামী-স্ত্রী রাতে ‘ডেটে’ বেরোলে তারা যাবতীয় ক্লান্তি থেকে সরে আসতে পারেন। স্রেফ স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের হাত ধরে ‘ডেট নাইট’-এ গেলে পরস্পরের উপরে ভাল করে মনোনিবেশ করতে পারেন।
একে অন্যের অনুভূতিকে অনুভব করার সময় পান। ফলে দুজনের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মানসিক সম্পর্কটা আবার ফিরে আসে। যার জেরে অনেক তিক্ততা কেটে যায়।
‘ডেট নাইট’ মানে কোথায় যাবেন?
হতে পারে সিনেমা দেখা বা রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ। এমনকি পরস্পরের হাত ধরে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানোও যেতে পারে। পার্কের বেঞ্চে বসে আড্ডায় মেতে যাওয়াও হতে পারে। এমনটিই বলেছেন গবেষক দল।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার স্ত্রী মিশেল ওবামাও মাসে অন্তত কয়েকবার নিজেরাই একে-অপরের হাত ধরে ‘ডেট নাইট’-এ যান। তাদের এই ‘ডেট নাইট’-এ সঙ্গে দুই মেয়ে কখনও থাকে না।