নিউজ ডেস্ক:
চীন-রাশিয়াকে গভীর সমুদে মোকাবেলা করতে এবার নতুন ড্রোন অস্ত্র তৈরির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
ওই ড্রোনের নাম ‘মার্চে ইকো ভয়েজার’ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বোয়িং’এর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজে ইকো ভয়েজারের ব্যবহারের কথা জানায়।
৫১ ফুট লম্বা চালকহীন পানির নিচের ড্রোনটি দিয়ে নজরদারি তৎপরতার চালানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকি ব্যাটারি এবং ডিজেল চালিত ইকো ভয়েজার টানা কয়েক মাস পানির নিচে থাকতে পারে। সাগরের প্রতিকূল আবহাওয়াকে এড়িয়ে যেতে পারে এই সি ড্রোন। তবে ব্যাটারি বদলের জন্য মাঝে মাঝে ভেসে উঠতে হয় একে।
তারা আরও জানায়, ভবিষ্যতে পানির নিচে চালকহীন যানের তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে এই ইকো ভয়েজার।
বোয়িং ফ্যান্টাম ওয়ার্কসের প্রেসিডেন্ট ডেরি ডেভিস জানান। খুব শিগগিরই ইকো ভয়েজার পরীক্ষামূলক ভাবে সাগরে নামানো হবে। প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার উপস্থিতি বজায় রাখার অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হবে।
আগামী অর্থ বছরে নৌড্রোন উন্নয়ন খাতে ৩১ কোটি ৯০ লাখ ডলার ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী।
ইকো ভয়েজার ছাড়াও সি হান্টার নামের পানির তলের আরেকটি ড্রোন নিয়ে কাজ করছে পেন্টাগন। পানির নিচ থেকে শত্রু জাহাজ শনাক্ত এবং অনুসরণের কাজ করবে সি হান্টার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সি হান্টারকে আরও চৌকস করে তোলা হচ্ছে। আকাশের ড্রোন সহজে তথ্য প্রেরণ করতে পারে জলের তলের ড্রোনের তা পারে না।
নৌড্রোনকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে চাইলে এ ক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ছাড়া, ঝড় উঠলে কোনো কোনো নৌড্রোন বন্দরেই আটকা পড়ে যায়। এ সীমাবদ্ধতা দূর করে অদূর ভবিষ্যতে নৌড্রোন ব্যাপক তৎপরতা চালাবে বলে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।