শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

কিম বধে দ. কোরিয়ার নতুন অস্ত্র ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:২৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পরমাণু ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে কিমের দেশে ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’ ফেলার হুমকি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গ্রাফাইট বোমা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি সিউলের এ গ্রাফাইট বোমা পিয়ংইয়ংয়ের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিবে বলে দাবি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত কার্বন গ্রাফাইটের এই ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’ বৈদ্যুতিক স্থাপনার ওপর ছড়িয়ে পড়ে এর শর্টসার্কিট ঘটাবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করবে। কোরীয় উপদ্বীপে সম্ভাব্য কোনো পরমাণু যুদ্ধের ঘটনায় এ বোম্ব ব্যবহার করবে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আরেকটি কোরীয় যুদ্ধ অত্র অঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমন প্রেক্ষাপটে সিউল প্রতিবেশী পিয়ংইয়ংকে থামাতে বিকল্প কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে নিজেদের সফলতা দাবি করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার এজেন্সি ফর ডিফেন্স ডেভেলপমেন্ট (এডিডি) গ্রাফাইট বোমাটি তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, এ ধরনের বোমাকে প্রায়ই ‘সফট বোম্ব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ এ বোম্বগুলো শুধু বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এটা কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট এ ধরনের বোমা ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। ১৯৯০ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে এ বোমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ন্যাটো জোট।

গত তিন বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়া তার জাতীয় প্রতিরক্ষার ‘তিনটি স্তম্ভ’ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এ ব্ল্যাকআউট বোম্বের হুমকি এমন সময়ে এলো যখন উত্তর কোরিয়ার সরকার তদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ আবারও চড়তে শুরু করেছে। শনিবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ‘শুধু একটি জিনিসই কাজ করবে। কিমের পাল্টা জবাব পরমাণু হামলার জবাব পরমাণু অস্ত্র দিয়েই দেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

কিম বধে দ. কোরিয়ার নতুন অস্ত্র ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’!

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:২৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পরমাণু ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে কিমের দেশে ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’ ফেলার হুমকি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গ্রাফাইট বোমা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি সিউলের এ গ্রাফাইট বোমা পিয়ংইয়ংয়ের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিবে বলে দাবি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত কার্বন গ্রাফাইটের এই ‘ব্ল্যাকআউট বোম্ব’ বৈদ্যুতিক স্থাপনার ওপর ছড়িয়ে পড়ে এর শর্টসার্কিট ঘটাবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করবে। কোরীয় উপদ্বীপে সম্ভাব্য কোনো পরমাণু যুদ্ধের ঘটনায় এ বোম্ব ব্যবহার করবে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আরেকটি কোরীয় যুদ্ধ অত্র অঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমন প্রেক্ষাপটে সিউল প্রতিবেশী পিয়ংইয়ংকে থামাতে বিকল্প কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে নিজেদের সফলতা দাবি করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার এজেন্সি ফর ডিফেন্স ডেভেলপমেন্ট (এডিডি) গ্রাফাইট বোমাটি তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, এ ধরনের বোমাকে প্রায়ই ‘সফট বোম্ব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ এ বোম্বগুলো শুধু বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এটা কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট এ ধরনের বোমা ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। ১৯৯০ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে এ বোমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ন্যাটো জোট।

গত তিন বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়া তার জাতীয় প্রতিরক্ষার ‘তিনটি স্তম্ভ’ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এ ব্ল্যাকআউট বোম্বের হুমকি এমন সময়ে এলো যখন উত্তর কোরিয়ার সরকার তদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ আবারও চড়তে শুরু করেছে। শনিবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ‘শুধু একটি জিনিসই কাজ করবে। কিমের পাল্টা জবাব পরমাণু হামলার জবাব পরমাণু অস্ত্র দিয়েই দেওয়া হবে।