শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

মেহেরপুরে প্রতিমায় কাঁদা মাটির কাজ শেষে চলছে রংতুলির শেষ আচড়

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

মাাসুদ রানা, মেহেরপুর ॥ শরতের কাশফুল, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা বলে দেয় দেবী দূর্গা আসছে। কাঁদা মাটির কাজ শেষে চলছে রংতুলির শেষ আচড়। আর কিছুদিন পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচাইতে বড় উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি। প্রতিবারের ন্যায় উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গৎসব পালন করতে পারবেন বলে আশা পূজা উদযাপন কমিটির। আর দূর্গাৎসবকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার।

১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন চন্ডিপাঠের মাধ্যমে স্বর্গলোক থেকে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আসার আমন্ত্রন জানিয়েছেন হিন্দু র্ধমাবলম্বীরা। মহাষষ্টির দিন দেবীর আগমন ঘটবে পৃথিবীতে। তাইতো জেলার ৩২ টি মন্ডপে চলছে রংতুলির শেষ আচড়। তবে প্রতিমা শিল্পীদের দাবি পূজার আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম বাড়ালেও বাড়েনি তাদের মুজুরি। ফলে খুব একটা লাভের মুখ দেখছেনা তারা। তারপরও পূর্বপুরুষের এ পেশা ধরে রেখেছেন কারিগররা।
প্রতিম তৈরীরর কারিগররা জানান, বিচালি ও কাঁদামাটি দিয়ে কারিগরদের নিপুন হাতের ছোয়ার তৈরি হচ্ছে দেবী র্দূর্গা, স্বরসতি, কার্তিক, গনেশসহ বিভিন্œ প্রতিমা। ছোট মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও বড় মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা নিচ্ছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ সময়ে হাতে অনেক কাজ থাকলেও বছরের অন্য সময়ে বসে থাকতে হয়। বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাতে হয় আমাদের।
মেহেরপুরের পুরোহিত সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, পঞ্জিকামতে এবার দেবীর আগমন নৌকায়, গমন দৌলায়। ফলে পৃথিবিতে এবার প্রচুর পরিমান শষ্য উৎপাদন হবে এবং হবে শান্তি প্রতিষ্ঠতা। ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠি ও ৩০ তারিখে দেবীদূর্গাকে বির্ষজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গৎসব।
মেহেরপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাঃ রমেশ চন্দ্র নাথ জানালেন, সম্প্রদায় সম্প্রীতির জেলা মেহেরপুর। সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে পূজার আনন্দ উপভোগ করবেন। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দ বেশি পেলে পূজা মন্ডপের সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
মেহেরপুর পূজা উদযাপন কমিটি সহসভাপতি পল্লব ভট্টাচার্য জানান, দূর্গৎসবকে কেন্দ্র করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মায়ের আগমনে বিশ্ব মঙ্গলময় হবে । উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, এবারে পূজাকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে । পূজা মন্ডপের বিভিন্ন স্থানে আনছার, র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি সাদ পোশাকে কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

মেহেরপুরে প্রতিমায় কাঁদা মাটির কাজ শেষে চলছে রংতুলির শেষ আচড়

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মাাসুদ রানা, মেহেরপুর ॥ শরতের কাশফুল, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা বলে দেয় দেবী দূর্গা আসছে। কাঁদা মাটির কাজ শেষে চলছে রংতুলির শেষ আচড়। আর কিছুদিন পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচাইতে বড় উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি। প্রতিবারের ন্যায় উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গৎসব পালন করতে পারবেন বলে আশা পূজা উদযাপন কমিটির। আর দূর্গাৎসবকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার।

১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন চন্ডিপাঠের মাধ্যমে স্বর্গলোক থেকে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আসার আমন্ত্রন জানিয়েছেন হিন্দু র্ধমাবলম্বীরা। মহাষষ্টির দিন দেবীর আগমন ঘটবে পৃথিবীতে। তাইতো জেলার ৩২ টি মন্ডপে চলছে রংতুলির শেষ আচড়। তবে প্রতিমা শিল্পীদের দাবি পূজার আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম বাড়ালেও বাড়েনি তাদের মুজুরি। ফলে খুব একটা লাভের মুখ দেখছেনা তারা। তারপরও পূর্বপুরুষের এ পেশা ধরে রেখেছেন কারিগররা।
প্রতিম তৈরীরর কারিগররা জানান, বিচালি ও কাঁদামাটি দিয়ে কারিগরদের নিপুন হাতের ছোয়ার তৈরি হচ্ছে দেবী র্দূর্গা, স্বরসতি, কার্তিক, গনেশসহ বিভিন্œ প্রতিমা। ছোট মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও বড় মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা নিচ্ছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ সময়ে হাতে অনেক কাজ থাকলেও বছরের অন্য সময়ে বসে থাকতে হয়। বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাতে হয় আমাদের।
মেহেরপুরের পুরোহিত সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, পঞ্জিকামতে এবার দেবীর আগমন নৌকায়, গমন দৌলায়। ফলে পৃথিবিতে এবার প্রচুর পরিমান শষ্য উৎপাদন হবে এবং হবে শান্তি প্রতিষ্ঠতা। ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠি ও ৩০ তারিখে দেবীদূর্গাকে বির্ষজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গৎসব।
মেহেরপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাঃ রমেশ চন্দ্র নাথ জানালেন, সম্প্রদায় সম্প্রীতির জেলা মেহেরপুর। সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে পূজার আনন্দ উপভোগ করবেন। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দ বেশি পেলে পূজা মন্ডপের সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
মেহেরপুর পূজা উদযাপন কমিটি সহসভাপতি পল্লব ভট্টাচার্য জানান, দূর্গৎসবকে কেন্দ্র করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মায়ের আগমনে বিশ্ব মঙ্গলময় হবে । উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, এবারে পূজাকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে । পূজা মন্ডপের বিভিন্ন স্থানে আনছার, র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি সাদ পোশাকে কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।