1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আল ইয়াকিনের উপর ক্ষুদ্ধ | Nilkontho
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | বুধবার | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
রাইসট্রান্সপ্ল্যান্টারের ম্যাধমে ধানের চারা রোপন উদ্বোধন ইবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ গড়াই পরিবহনের বাস আটক আলমডাঙ্গার চিৎলায় সেচ্ছাসেবক দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শত্রুতার জের ধরে কচুয়ায় ছাত্রের কান কেটে দিল প্রতিপক্ষ ॥ আটক ১ বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুর বিএনপির মিছিল রাবিতে সংবাদিকদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্মশালার আয়োজন চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুর ইউনিয়নের ষোলকোনা খালে পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ও স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সংঘর্ষ চট্টগ্রামে চেকপোস্টে পুলিশের উপর হামলা, আটক ২ পঞ্চগড়ে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে কারাগারে পাঠালেন আদালত কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত সুইজারল্যান্ড সফর দিয়ে বছর শুরু করবেন ড. ইউনূস মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করলেন ডিপজল মুক্তিযুদ্ধের সেই আইকনিক ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে চার কমিশন মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার ছাগল কাণ্ডের সেই মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আল ইয়াকিনের উপর ক্ষুদ্ধ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জিয়াবুল হক , টেকনাফ : সীমান্তবর্তীদেশ মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সরকারী বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর লাগাতার জুলুম-নির্যাতনের জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র বাহিনীকে দায়ী করছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা। আরসা রোহিঙ্গাদের কাছে হারাকাহ্ আল ইয়াকিন নামে বেশি পরিচিত। আরসা বা আল ইয়াকিন যাই হোক এ সংগঠনের কর্মকান্ডের প্রতি যথেষ্ট সন্দিহান রয়েছে রোহিঙ্গাদের। সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের মধ্যে এমন আস্থাহীন হয়ে পড়েছে যে, রোহিঙ্গাদের বসত-বাড়ি, জমি জমাসহ এই পরিণতির জন্য মুলত আল ইয়াকিন (আরসা) কে দায়ী করছেন।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমার আরকান রাজ্যে ২৪ টি সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আল ইয়াকিন (আরসা)’র হামলার পূর্ব পর্যন্ত তারা অনেকটা নিরাপদে ছিলেন। এই সস্ত্রাসী বাহিনীর হামলার পরপরই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইনরা মিলে মুসলমানদের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক মুসলমানদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষন ও শিশুদের হত্যার মতো জঘন্যতম বর্বরতায় মেতে ওঠেন। তাদের বর্বরতায় প্রাণ ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশের দুই সীমান্ত উপজেলায় আশ্রয় নিতে পালিয়ে এসছেন প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ( সাধরণের ধারণা)।
বেশ কিছু আরকান রাজ্যের রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের আল ইয়াকিন (আরসা) তাদের আশ্বস্থ করেছিল এই বলে যে, তারা আরাকানের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে আল ইয়াকিন (আরসা) নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচি না দিয়ে শুরুতেই সরকার বিরোধী সন্ত্রাসী পথ বেছে নেন, যাতে কিনা সাধারণ রোহিঙ্গাদের সমর্থন ছিলনা। রোহিঙ্গারা বরাবরই বুঝতেন যে, রাতারাতি গুটি কয়েক আল ইয়াকিন (আরসা) সদস্যদের চাপাচাপিতে আরকান রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বতো দূরেই, ঠিকে থাকাও দূরহ হয়ে পড়বে। ঠিক তেমনটি ঘটেছে আরাকানে।
মংডুর শহরের নয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা মৌলভী রেয়াজু বাবা মাসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছেন নাফনদী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফে। মংডু শহরে তাদের বাড়ি এতোদিন সেদেশের সরকারি বাহিনীর সাথে কোন ঝামেলা ছাড়া নিরাপদে ছিলেন। কিন্তু আল ইয়াকিন (আরসা) গত ২৪ আগস্টের ঘটনার পর থেকে মোটামুটি শান্ত আরাকান রোহিঙ্গাদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হবে এমন আশায় ওপারেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্বরতা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে রেয়াজুর পরিবার আর ঠিকতে পারেনি। তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে পাড়ি দিয়েছিলেন নতুন করে বাচাঁর জন্য বাংলাদেশে। তিনি আরো বলেন, আমি আল ইয়াকিন বা আরসা’র দ্বারা সংঘঠিত কাজটি মোটেও সমর্থন করিনা। পবিত্র কুরবানির ঈদের আগে কি দরকার ছিলো পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ? তারা কি রাতারাতি আরাকান আজাদ করতে চেয়েছিলেন ? আর তা যদি হয়, তাহলে মিয়ানমার স্বশস্ত্র বাহিনী যখন আমাদের মতো সাধারণ লোকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে, হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়ি বাড়ি আগুন দেয়ার মতো কাজ করছিল তখন আরসা বলুন আর আল ইয়াকিন বলুন তারা কোথায় ছিলেন ?
মিয়ানমার বলিবাজার থেকে আসা ফাতেমা বলেন, “আল ইয়াকিন বা আরসার নেতারা শুধু হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও মেসেঞ্জারে ভিডিও বার্তা প্রচার করে আরাকানের যুবকদের জিহাদ করতে উস্কিয়ে দিয়েছেন। সংগঠনটির কোন নেতা আমাদের কাছে পরিচিতও নয়। ওদের কাউকে এলাকায়ও আসতেও দেখেনি কেউ। শুধু পাহাড়ি ঝোঁপঝাড় থেকে কয়েকটি অস্ত্র হাতে নিয়ে ভিডিওতে জিহাদ করতে বলেছেন।” ফাতেমা আরো বলেন, “রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের নেতা পরিচয় দানকারী আতা উল্লাহ ভিডিওতে জিহাদের ডাক দিয়ে বলেছেন রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমারের বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হলে হাজার হাজার প্রশিক্ষণ নেয়া আল ইয়াকিন সদস্য অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ করবেন, আরাকান রাজ্য স্বাধীন করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। সরকারি বাহিনী গ্রামের পর গ্রাম ছাঁই করে গেছে তবু আল ইয়াকিন বা আরসা’র কোন সদস্যকে কোন গ্রামেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আসতে দেখেনি রোহিঙ্গারা।”
মংডুর ডেইল পাড়া থেকে আসা মনিরুল্লাহ বলেন,“আরসা বা আল ইয়াকিন কে আরাকানের মুসলমানদের কল্যাণকামী সংগঠন বলে মনে হয়না। তাদের অসংগঠিত ও অপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কান্ডের খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ নিরপরাধ রোহিঙ্গাকে। আল ইয়াকিন বা আরসা এ ঘটনাটি না ঘটালে মিয়ানমার সরকার আপাতত রোহিঙ্গাদের উপর এতো পাশবিক নির্যাতনের পথ বেছে নিতো না বলেও ধারণা মনিরুল্লাহর। তার মতে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের এই দূরাবাস্থা শুধু আল ইয়াকিন (আরসা)’র কারণে হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “ওপারে অনেক রোহিঙ্গাদের বড় বড় অট্টালিকা, ব্যবসা বাণিজ্য, জমি জমা সবকিছুই ছিলো। কিন্তু আল ইয়াকিন (আরসা)’র ভুলের কারণে হোক বা তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে হোক, আরাকানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব শেষ হয়েছে মুলত আল ইয়াকিন (আরসা)’র কারণে। সরকারের নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়াতো দূরের কথা উল্টো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে রোহিঙ্গাদের।
আরেক রোহিঙ্গা একটি পরিবারের ৬ জন আসা তারা বলেন, মিয়ানমার সরকার কতটা বর্বরতা তা সবাই জানে, তাই পুরো প্রস্তুতি ছাড়া সরকারের একটি বৃহত্তর বাহিনীর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা মাতলামি ছাড়া কিছুই না। আমার মতে, আরসা নেতা আতা উল্লাহ নিজের ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজটি করেছিলেন। তা না হলে, যখন সরকারি বাহিনী হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্বিচারে হত্যা করছে তখনও আল ইয়াকিন (আরসা) নামক সংগঠনটি পাহাড়ে লুকিয়ে খেলা দেখছিল।”
গদুছড়া থেকে পালিয়ে আসা আরেক যুবক সাঈফ বলেন, আল ইয়াকিন (আরসা) আমাদের শুধু যুদ্ধ করতে বলেছে কিন্তু তারা আমাদের সামনেও আসেনি, যুদ্ধের কোন রণকৌশলও শেখাননি। আমাদের তারা শুধু খালি হাতে তাদের সঙ্গ দিতে বলেছিল তাও ভিডিও প্রচার করে। আমাদের হাতে দা, চুরি, লাঠি ছাড়া কিছুই ছিলোনা। আমরা প্রথমে নিরব ছিলাম , যখন রাখাইনরা সরকারি বাহিনীর সাথে মিলে আমাদের উপর হামলা করলো তখন আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তাদের ভারি অস্ত্রের সামনে আমরা নিরুপায়। বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোন উপায় ছিলোনা।” তিনি আরো বলেন, “আরসার নেতারা কারো কারো হাতে নাকি বোমা বলে কালো পলিথিনে মোড়ানো মাটির বুনট পৌঁছিয়েছিলো। এগুলো পাঠিয়ে তারা বলেছিলো,‘এগুলো বোমা, ছুড়ার সাথে সাথে সব কিছু জ্বলে ছাঁই হয়ে যাবে’। যখন আল ইয়াকিন (আরসা)’য় আশ্বস্ত গুটি কয়ে রোহিঙ্গা যুবক হাতে থাকা এসব বোমা সদৃশ বস্তুগুলো নিক্ষেপ করে, তখন দেখা গেলো পলিথিন ছিড়ে মাটি ছাড়া কিছুই বেরোইনি। এই যুবকের মতে, আল ইয়াকিন (আরসা) মুলতঃ রোহিঙ্গাদের সাথে চরম বেঈমানি করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের মুক্তির কথা বলে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা ধান্ধা করার ফন্দি করেছিল।”
মিয়ানমারে সহিংসতার পর এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক ও পুরুষদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তারা কেউ আরসা বা আল ইয়াকিনের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেননা। তারা শুধু এটুকু বলতে পারেন যে, আল ইয়াকিন ( আরসা) নামে একটি সংগঠন আছে যেটি রোহিঙ্গাদের মুক্তির কথা বলেছিলেন। রোহিঙ্গারা জানতেন না যে আল ইয়াকিন ( আরাসা)’র রোহিঙ্গা মুক্তির মিশন যে রোহিঙ্গা নিধনের মিশনে পরিণত হবে।
রোহিঙ্গারা এখন আল ইয়াকিন (আরসা) তে মোটেও আস্থা রাখছেননা বরং এ সংগঠনের সদস্যদের খোঁজ পেলে খতম করে দেবেন বলেও কেউ কেউ ক্ষোভ দেখিয়েছেন এই বলে যে, আল ইয়াকিন (আরসা) রোহিঙ্গাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন।
এপারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রশ্ন ; আরসা কি বাস্তবেই রোহিঙ্গাদের মুক্তি চেয়েছেন নাকি তারা মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা নিধন পরিকল্পনার অসমাপ্ত কাজটি সমাপ্ত করেছেন ?

 Save as PDF

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১