বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম) : কিছুতেই থামানো যাচ্ছো না রোহিঙ্গাদের, কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পথেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিতে নিত্য নতুন কৌশলে তারা পালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের পাটিয়া, রাউজান, বাঁশখালীসহ চট্টগ্রাম জেলার বেশকয়েক দিন যাবৎ পুলিশি অভিযানে কয়েক’শ রোহিঙ্গা আটকের পর তাদের শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়। আশ্রয় নেয়া শারনর্থীদের পালানো ঠেকাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বিভিন্ন বাসে অভিযান চালিয়ে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতভর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
দেশব্যাপী তাদের ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-উপসড়কে ১৩৮ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ ও র্যাব-৭ সদস্যরা পৃথক এ অভিযান চালান। চেকপোস্ট অব্যাহত রাখতে কক্সবাজারে অতিরিক্ত ৪০০ বিভিন্ন পদবীর পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র আফরোজ-উল হক টুটুল তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। তাদের অবস্থান এবং গতিবিধি শুধুমাত্র কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে। ক্যাম্পের বাইরে কোনো পরিচিতদের বাড়িতে অবস্থান ও আশ্রয় কিংবা বাড়িভাড়াও নিতে পারবেন না।’