বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

মহেশপুরে সরকারী খাস জমিতে রাতারাতি পাকা মার্কেট নির্মাণ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এই কাজে সহায়তা করছেন মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমান। খোদ সরকারী কর্মকর্তার সহযোগীতায খাস জমিতে মার্কেট তৈরী করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে, পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে থাকায় এখন এক শতক জমিও অবশিষ্ট নেই। এদিকে পুড়াপাড়া বাজারের পুড়াপাড়া-আন্দুলিয়া রাস্তার বকুল তলার মোড়ের কাছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের শ্রী সুকদেব কুমার পিতা-মৃত শ্রীদাম মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার স্ত্রী ও ছোট ভাই উত্তম কুমারের নামে রাস্তার খাস জমি সরকারের কাজ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহন করেন। অথচ উত্তম কুমারের কোটি কোটি টাকা ও রয়েছে অটো মিল। তিনি বন্দোবস্ত পাওয়ার পর চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে জায়গাটি দখলে রাখেন। এরপর সুযোগ বুঝে শ্রী সুকদেব কুমার সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহায়তায় পাকা বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন।

বিষয়টি বাজারের লোকজন জানতে পেরে মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলামকে জানান । চেয়ারম্যান খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় চৌকিদার ও দফাদারকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু শ্রী সুকদেব কুমার চেয়ারম্যানের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কাজ চালাতে থাকেন। এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে মোবাইল ফোনে (০১৭১৯-৪৮৬২৩৩) জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কি ভাবে বন্দোবস্ত অফিস থেকে দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। বন্দোবস্ত আছে বলেই তিনি পাকা ঘর নির্মাণ করছেন বলেও জানান আতিয়ার রহমান। জমি বন্দোবস্ত গ্রহনকারী শ্রী সুকদেব কুমার জানান আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের নামে আমি জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করে ঐ জমি মহেশপুরের শ্যামনগরের রমজান আলীর কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছি। অথচ সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহন করা জমি কারো কাছে হস্তান্তরযোগ্য নয় বলে মহেশপুর এসিল্যান্ড অফিস থেকে বলা হয়েছে। এলাকাবাসী বন্দোবস্ত বাতিল পুর্বক সরকারী খাস জমি পূনঃ উদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

মহেশপুরে সরকারী খাস জমিতে রাতারাতি পাকা মার্কেট নির্মাণ

আপডেট সময় : ০৮:১৮:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এই কাজে সহায়তা করছেন মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমান। খোদ সরকারী কর্মকর্তার সহযোগীতায খাস জমিতে মার্কেট তৈরী করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে, পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে থাকায় এখন এক শতক জমিও অবশিষ্ট নেই। এদিকে পুড়াপাড়া বাজারের পুড়াপাড়া-আন্দুলিয়া রাস্তার বকুল তলার মোড়ের কাছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের শ্রী সুকদেব কুমার পিতা-মৃত শ্রীদাম মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার স্ত্রী ও ছোট ভাই উত্তম কুমারের নামে রাস্তার খাস জমি সরকারের কাজ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহন করেন। অথচ উত্তম কুমারের কোটি কোটি টাকা ও রয়েছে অটো মিল। তিনি বন্দোবস্ত পাওয়ার পর চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে জায়গাটি দখলে রাখেন। এরপর সুযোগ বুঝে শ্রী সুকদেব কুমার সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহায়তায় পাকা বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন।

বিষয়টি বাজারের লোকজন জানতে পেরে মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলামকে জানান । চেয়ারম্যান খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় চৌকিদার ও দফাদারকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু শ্রী সুকদেব কুমার চেয়ারম্যানের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কাজ চালাতে থাকেন। এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে মোবাইল ফোনে (০১৭১৯-৪৮৬২৩৩) জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কি ভাবে বন্দোবস্ত অফিস থেকে দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। বন্দোবস্ত আছে বলেই তিনি পাকা ঘর নির্মাণ করছেন বলেও জানান আতিয়ার রহমান। জমি বন্দোবস্ত গ্রহনকারী শ্রী সুকদেব কুমার জানান আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের নামে আমি জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করে ঐ জমি মহেশপুরের শ্যামনগরের রমজান আলীর কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছি। অথচ সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহন করা জমি কারো কাছে হস্তান্তরযোগ্য নয় বলে মহেশপুর এসিল্যান্ড অফিস থেকে বলা হয়েছে। এলাকাবাসী বন্দোবস্ত বাতিল পুর্বক সরকারী খাস জমি পূনঃ উদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।