শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ঢাকার আশুলিয়ায় ৩৮ টুকরো নারীর বাড়ি ঝিনাইদহে ৩৮ টুকরো ঝিনাইদহের সেই নারী হত্যা সন্দেহে গ্রেফতার ৩

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ৩৮ টুকরো করে নির্মম খুনের শিকার গৃহবধু তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে আশুলিয়া থানার একদল পুলিশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে আকরাম হোসেন ও তার ভাই আলীনুর এবং আক্তার হোসেন ওরফে কালু মোল্লার ছেলে মুকুল হোসেনকে আটক করে। এ সময় আলীবর রহমান নামে আরেকজনকে পুলিশ নিয়ে গেলেও শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাসলিমার তৃতীয় স্বামী মজিবর রহমানকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসি ধারণা করছে। মজিবরকে গ্রেফতার করতে পারলে তাসলিমাকে ৩৮ টুকরো করে হত্যার রহস্য উন্মোচন হতো বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে বাগডাঙ্গা গ্রামে পুলিশ অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিছুজ্জামান আশুলিয়া থানা থেকে আসা পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন। তিনি অভিযান পরিচালনা ও তিনজনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৩৮ টুকরোর শিকার নিহত তাসলিমা খাতুন নৈহাটী গ্রামের তক্কেল আলীর মেয়ে। তার একাধিক স্বামী ছিল। মজিবর রহমান ছিল তার তৃতীয় স্বামী।

স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, নৈহাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুনের একাধিক স্বামী ছিল। বাগডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে মজিবর রহমান ছিল তাসলিমার তৃতীয় স্বামী। পুলিশের একটি সুত্রে জানা গেছে, আগের দুই স্বামী ছেড়ে তাসলিমা খাতুন তৃতীয় স্বামী হিসেবে মজিবর রহমানকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে তাসলিমা খাতুন আরেক সহকর্মীর প্রেমে জড়িয়ে তার সাথে দৌহিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ক্ষুদ্ধ হয় তৃতীয় স্বামী মজিবর। এরপর তাকে গত ৩০ আগষ্ট ৩৮ টুকরো করে হত্যা করা হয়। পুলিশের সন্দেহের তীর এখন তৃতীয় স্বামী মজিবরের দিকে। তাকে গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ তার দুই ভাই আকরাম হোসেন ও আলীনুর রহমানকে আটক করে নিয়ে গেছে। এদিকে গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে তারা খুবই নীরিহ। মজিবরের সাথে তাদের ভাইদের দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। গার্মেন্টেসে চাকরীর করার সুবাদে মুজিবর ও তার স্ত্রী তাসলিমা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকেন বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

ঢাকার আশুলিয়ায় ৩৮ টুকরো নারীর বাড়ি ঝিনাইদহে ৩৮ টুকরো ঝিনাইদহের সেই নারী হত্যা সন্দেহে গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ৩৮ টুকরো করে নির্মম খুনের শিকার গৃহবধু তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে আশুলিয়া থানার একদল পুলিশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে আকরাম হোসেন ও তার ভাই আলীনুর এবং আক্তার হোসেন ওরফে কালু মোল্লার ছেলে মুকুল হোসেনকে আটক করে। এ সময় আলীবর রহমান নামে আরেকজনকে পুলিশ নিয়ে গেলেও শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাসলিমার তৃতীয় স্বামী মজিবর রহমানকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসি ধারণা করছে। মজিবরকে গ্রেফতার করতে পারলে তাসলিমাকে ৩৮ টুকরো করে হত্যার রহস্য উন্মোচন হতো বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে বাগডাঙ্গা গ্রামে পুলিশ অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিছুজ্জামান আশুলিয়া থানা থেকে আসা পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন। তিনি অভিযান পরিচালনা ও তিনজনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৩৮ টুকরোর শিকার নিহত তাসলিমা খাতুন নৈহাটী গ্রামের তক্কেল আলীর মেয়ে। তার একাধিক স্বামী ছিল। মজিবর রহমান ছিল তার তৃতীয় স্বামী।

স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, নৈহাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুনের একাধিক স্বামী ছিল। বাগডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে মজিবর রহমান ছিল তাসলিমার তৃতীয় স্বামী। পুলিশের একটি সুত্রে জানা গেছে, আগের দুই স্বামী ছেড়ে তাসলিমা খাতুন তৃতীয় স্বামী হিসেবে মজিবর রহমানকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে তাসলিমা খাতুন আরেক সহকর্মীর প্রেমে জড়িয়ে তার সাথে দৌহিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ক্ষুদ্ধ হয় তৃতীয় স্বামী মজিবর। এরপর তাকে গত ৩০ আগষ্ট ৩৮ টুকরো করে হত্যা করা হয়। পুলিশের সন্দেহের তীর এখন তৃতীয় স্বামী মজিবরের দিকে। তাকে গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ তার দুই ভাই আকরাম হোসেন ও আলীনুর রহমানকে আটক করে নিয়ে গেছে। এদিকে গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে তারা খুবই নীরিহ। মজিবরের সাথে তাদের ভাইদের দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। গার্মেন্টেসে চাকরীর করার সুবাদে মুজিবর ও তার স্ত্রী তাসলিমা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকেন বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান।