বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

ঢাকার আশুলিয়ায় ৩৮ টুকরো নারীর বাড়ি ঝিনাইদহে ৩৮ টুকরো ঝিনাইদহের সেই নারী হত্যা সন্দেহে গ্রেফতার ৩

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ৩৮ টুকরো করে নির্মম খুনের শিকার গৃহবধু তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে আশুলিয়া থানার একদল পুলিশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে আকরাম হোসেন ও তার ভাই আলীনুর এবং আক্তার হোসেন ওরফে কালু মোল্লার ছেলে মুকুল হোসেনকে আটক করে। এ সময় আলীবর রহমান নামে আরেকজনকে পুলিশ নিয়ে গেলেও শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাসলিমার তৃতীয় স্বামী মজিবর রহমানকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসি ধারণা করছে। মজিবরকে গ্রেফতার করতে পারলে তাসলিমাকে ৩৮ টুকরো করে হত্যার রহস্য উন্মোচন হতো বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে বাগডাঙ্গা গ্রামে পুলিশ অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিছুজ্জামান আশুলিয়া থানা থেকে আসা পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন। তিনি অভিযান পরিচালনা ও তিনজনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৩৮ টুকরোর শিকার নিহত তাসলিমা খাতুন নৈহাটী গ্রামের তক্কেল আলীর মেয়ে। তার একাধিক স্বামী ছিল। মজিবর রহমান ছিল তার তৃতীয় স্বামী।

স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, নৈহাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুনের একাধিক স্বামী ছিল। বাগডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে মজিবর রহমান ছিল তাসলিমার তৃতীয় স্বামী। পুলিশের একটি সুত্রে জানা গেছে, আগের দুই স্বামী ছেড়ে তাসলিমা খাতুন তৃতীয় স্বামী হিসেবে মজিবর রহমানকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে তাসলিমা খাতুন আরেক সহকর্মীর প্রেমে জড়িয়ে তার সাথে দৌহিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ক্ষুদ্ধ হয় তৃতীয় স্বামী মজিবর। এরপর তাকে গত ৩০ আগষ্ট ৩৮ টুকরো করে হত্যা করা হয়। পুলিশের সন্দেহের তীর এখন তৃতীয় স্বামী মজিবরের দিকে। তাকে গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ তার দুই ভাই আকরাম হোসেন ও আলীনুর রহমানকে আটক করে নিয়ে গেছে। এদিকে গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে তারা খুবই নীরিহ। মজিবরের সাথে তাদের ভাইদের দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। গার্মেন্টেসে চাকরীর করার সুবাদে মুজিবর ও তার স্ত্রী তাসলিমা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকেন বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ঢাকার আশুলিয়ায় ৩৮ টুকরো নারীর বাড়ি ঝিনাইদহে ৩৮ টুকরো ঝিনাইদহের সেই নারী হত্যা সন্দেহে গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ৩৮ টুকরো করে নির্মম খুনের শিকার গৃহবধু তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে আশুলিয়া থানার একদল পুলিশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে আকরাম হোসেন ও তার ভাই আলীনুর এবং আক্তার হোসেন ওরফে কালু মোল্লার ছেলে মুকুল হোসেনকে আটক করে। এ সময় আলীবর রহমান নামে আরেকজনকে পুলিশ নিয়ে গেলেও শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাসলিমার তৃতীয় স্বামী মজিবর রহমানকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসি ধারণা করছে। মজিবরকে গ্রেফতার করতে পারলে তাসলিমাকে ৩৮ টুকরো করে হত্যার রহস্য উন্মোচন হতো বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে বাগডাঙ্গা গ্রামে পুলিশ অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিছুজ্জামান আশুলিয়া থানা থেকে আসা পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন। তিনি অভিযান পরিচালনা ও তিনজনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৩৮ টুকরোর শিকার নিহত তাসলিমা খাতুন নৈহাটী গ্রামের তক্কেল আলীর মেয়ে। তার একাধিক স্বামী ছিল। মজিবর রহমান ছিল তার তৃতীয় স্বামী।

স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, নৈহাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুনের একাধিক স্বামী ছিল। বাগডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীন জোয়ারদারের ছেলে মজিবর রহমান ছিল তাসলিমার তৃতীয় স্বামী। পুলিশের একটি সুত্রে জানা গেছে, আগের দুই স্বামী ছেড়ে তাসলিমা খাতুন তৃতীয় স্বামী হিসেবে মজিবর রহমানকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে তাসলিমা খাতুন আরেক সহকর্মীর প্রেমে জড়িয়ে তার সাথে দৌহিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ক্ষুদ্ধ হয় তৃতীয় স্বামী মজিবর। এরপর তাকে গত ৩০ আগষ্ট ৩৮ টুকরো করে হত্যা করা হয়। পুলিশের সন্দেহের তীর এখন তৃতীয় স্বামী মজিবরের দিকে। তাকে গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ তার দুই ভাই আকরাম হোসেন ও আলীনুর রহমানকে আটক করে নিয়ে গেছে। এদিকে গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে তারা খুবই নীরিহ। মজিবরের সাথে তাদের ভাইদের দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। গার্মেন্টেসে চাকরীর করার সুবাদে মুজিবর ও তার স্ত্রী তাসলিমা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকেন বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান।