বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে স্বামীর অত্যচারে স্বেচ্ছায় স্ত্রীর তালাক, স্বামী কর্তৃক শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ভরন পোষন না দেওয়া আর স্বামীর অত্যচার সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছায় তালাক নিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বিপ্লব ওই গৃহবধুর ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মমতাজ খাতুনে ভাই দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। ২০০৮ সালে মাগুরা সদর উপজেলার বাসতৈল গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লবের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুনের। বিয়ের পর থেকে মততাজ খাতুনের কোন ভরন পোষন দিতেন না বিপ্লব। সেই সাথে করতেন শারিরীক নির্যাতন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মমতাজ খাতুন। দিনের পর দিন না খেয়ে আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন সে। ওই বছরের শেষের দিকে মমতাজ খাতুন স্বেচ্ছায় বিপ্লবকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার পর বিপ্লব সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে আবারো একটি বিয়ে করেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর স্বামী বিপ্লব প্রাক্তন স্ত্রী মমতাজ খাতুনের ভাইদের নামে একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানী শুরু করে। ভাইদের কথা চিন্তা করে মমতাজ খাতুন পুনরায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়ী চলে যায়।

কয়েকদিন পর আবারো শুরু হয় অত্যাচার। ঠিক মত খেতে না দেওয়া, শারিরীক নির্যাতন শুরু করে অত্যাচারী বিপ্লব। এরপর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মমতাজ খাতুন বিপ্লবকে তালাক দিয়ে চাকুরীর জন্য বিদেশে চলে যায়। অত্যাচারী বিপ্লব আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করে ষড়যন্ত্র। মমতাজ খাতুনের ভাই সাইকেল মেকার হারুনের দোকানে মাদক দিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে হয়রানী করে। সে দফায় হারুন গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পেলেও পিছু ছাড়েনী বিপ্লব। ভাই হারুন, হারুনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, ছেলে রিয়াজ, ভাগ্নে সোহেল, সজিব ও স্ত্রী মমতাজ খাতুনের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে একটি মিথ্যা চুরি মামলা দায়ের করে। মমতাজ খাতুন বিদেশে যাওয়ার পর কিভাবে চুরিতে অংশ নিল তা নিয়ে প্রশ্ন ভাই হারুনের। মিথ্যা মামলায় গরীব সাইকেল মেকার ভাই দিনের পর দিন মাগুরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিপ্লবের অত্যচার সহ্য না করে আমার বোন তাকে তালাক দিয়েছে। সেই অপমান সহ্য না করতে না পেরে সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। মাগুরা আদালতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সে। অত্যাচারী বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ঝিনাইদহে স্বামীর অত্যচারে স্বেচ্ছায় স্ত্রীর তালাক, স্বামী কর্তৃক শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ভরন পোষন না দেওয়া আর স্বামীর অত্যচার সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছায় তালাক নিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বিপ্লব ওই গৃহবধুর ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মমতাজ খাতুনে ভাই দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। ২০০৮ সালে মাগুরা সদর উপজেলার বাসতৈল গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লবের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুনের। বিয়ের পর থেকে মততাজ খাতুনের কোন ভরন পোষন দিতেন না বিপ্লব। সেই সাথে করতেন শারিরীক নির্যাতন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মমতাজ খাতুন। দিনের পর দিন না খেয়ে আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন সে। ওই বছরের শেষের দিকে মমতাজ খাতুন স্বেচ্ছায় বিপ্লবকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার পর বিপ্লব সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে আবারো একটি বিয়ে করেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর স্বামী বিপ্লব প্রাক্তন স্ত্রী মমতাজ খাতুনের ভাইদের নামে একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানী শুরু করে। ভাইদের কথা চিন্তা করে মমতাজ খাতুন পুনরায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়ী চলে যায়।

কয়েকদিন পর আবারো শুরু হয় অত্যাচার। ঠিক মত খেতে না দেওয়া, শারিরীক নির্যাতন শুরু করে অত্যাচারী বিপ্লব। এরপর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মমতাজ খাতুন বিপ্লবকে তালাক দিয়ে চাকুরীর জন্য বিদেশে চলে যায়। অত্যাচারী বিপ্লব আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করে ষড়যন্ত্র। মমতাজ খাতুনের ভাই সাইকেল মেকার হারুনের দোকানে মাদক দিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে হয়রানী করে। সে দফায় হারুন গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পেলেও পিছু ছাড়েনী বিপ্লব। ভাই হারুন, হারুনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, ছেলে রিয়াজ, ভাগ্নে সোহেল, সজিব ও স্ত্রী মমতাজ খাতুনের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে একটি মিথ্যা চুরি মামলা দায়ের করে। মমতাজ খাতুন বিদেশে যাওয়ার পর কিভাবে চুরিতে অংশ নিল তা নিয়ে প্রশ্ন ভাই হারুনের। মিথ্যা মামলায় গরীব সাইকেল মেকার ভাই দিনের পর দিন মাগুরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিপ্লবের অত্যচার সহ্য না করে আমার বোন তাকে তালাক দিয়েছে। সেই অপমান সহ্য না করতে না পেরে সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। মাগুরা আদালতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সে। অত্যাচারী বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।