শিরোনাম :
Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫: কচুয়ায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া Logo ইবিতে জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা Logo সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই চাঁদাবাজ আটক চুয়াডাঙ্গা শহরে Logo চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে শহীদ মাসুদ এবং শহীদ শুভ উভয়ের কবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ Logo অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতি চান রানু বেগম Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম

ঝিনাইদহে স্বামীর অত্যচারে স্বেচ্ছায় স্ত্রীর তালাক, স্বামী কর্তৃক শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ভরন পোষন না দেওয়া আর স্বামীর অত্যচার সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছায় তালাক নিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বিপ্লব ওই গৃহবধুর ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মমতাজ খাতুনে ভাই দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। ২০০৮ সালে মাগুরা সদর উপজেলার বাসতৈল গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লবের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুনের। বিয়ের পর থেকে মততাজ খাতুনের কোন ভরন পোষন দিতেন না বিপ্লব। সেই সাথে করতেন শারিরীক নির্যাতন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মমতাজ খাতুন। দিনের পর দিন না খেয়ে আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন সে। ওই বছরের শেষের দিকে মমতাজ খাতুন স্বেচ্ছায় বিপ্লবকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার পর বিপ্লব সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে আবারো একটি বিয়ে করেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর স্বামী বিপ্লব প্রাক্তন স্ত্রী মমতাজ খাতুনের ভাইদের নামে একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানী শুরু করে। ভাইদের কথা চিন্তা করে মমতাজ খাতুন পুনরায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়ী চলে যায়।

কয়েকদিন পর আবারো শুরু হয় অত্যাচার। ঠিক মত খেতে না দেওয়া, শারিরীক নির্যাতন শুরু করে অত্যাচারী বিপ্লব। এরপর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মমতাজ খাতুন বিপ্লবকে তালাক দিয়ে চাকুরীর জন্য বিদেশে চলে যায়। অত্যাচারী বিপ্লব আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করে ষড়যন্ত্র। মমতাজ খাতুনের ভাই সাইকেল মেকার হারুনের দোকানে মাদক দিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে হয়রানী করে। সে দফায় হারুন গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পেলেও পিছু ছাড়েনী বিপ্লব। ভাই হারুন, হারুনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, ছেলে রিয়াজ, ভাগ্নে সোহেল, সজিব ও স্ত্রী মমতাজ খাতুনের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে একটি মিথ্যা চুরি মামলা দায়ের করে। মমতাজ খাতুন বিদেশে যাওয়ার পর কিভাবে চুরিতে অংশ নিল তা নিয়ে প্রশ্ন ভাই হারুনের। মিথ্যা মামলায় গরীব সাইকেল মেকার ভাই দিনের পর দিন মাগুরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিপ্লবের অত্যচার সহ্য না করে আমার বোন তাকে তালাক দিয়েছে। সেই অপমান সহ্য না করতে না পেরে সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। মাগুরা আদালতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সে। অত্যাচারী বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল

ঝিনাইদহে স্বামীর অত্যচারে স্বেচ্ছায় স্ত্রীর তালাক, স্বামী কর্তৃক শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ভরন পোষন না দেওয়া আর স্বামীর অত্যচার সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছায় তালাক নিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বিপ্লব ওই গৃহবধুর ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মমতাজ খাতুনে ভাই দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। ২০০৮ সালে মাগুরা সদর উপজেলার বাসতৈল গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লবের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ এলাকার মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে মততাজ খাতুনের। বিয়ের পর থেকে মততাজ খাতুনের কোন ভরন পোষন দিতেন না বিপ্লব। সেই সাথে করতেন শারিরীক নির্যাতন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মমতাজ খাতুন। দিনের পর দিন না খেয়ে আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন সে। ওই বছরের শেষের দিকে মমতাজ খাতুন স্বেচ্ছায় বিপ্লবকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার পর বিপ্লব সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে আবারো একটি বিয়ে করেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর স্বামী বিপ্লব প্রাক্তন স্ত্রী মমতাজ খাতুনের ভাইদের নামে একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানী শুরু করে। ভাইদের কথা চিন্তা করে মমতাজ খাতুন পুনরায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়ী চলে যায়।

কয়েকদিন পর আবারো শুরু হয় অত্যাচার। ঠিক মত খেতে না দেওয়া, শারিরীক নির্যাতন শুরু করে অত্যাচারী বিপ্লব। এরপর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মমতাজ খাতুন বিপ্লবকে তালাক দিয়ে চাকুরীর জন্য বিদেশে চলে যায়। অত্যাচারী বিপ্লব আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করে ষড়যন্ত্র। মমতাজ খাতুনের ভাই সাইকেল মেকার হারুনের দোকানে মাদক দিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে হয়রানী করে। সে দফায় হারুন গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পেলেও পিছু ছাড়েনী বিপ্লব। ভাই হারুন, হারুনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, ছেলে রিয়াজ, ভাগ্নে সোহেল, সজিব ও স্ত্রী মমতাজ খাতুনের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে একটি মিথ্যা চুরি মামলা দায়ের করে। মমতাজ খাতুন বিদেশে যাওয়ার পর কিভাবে চুরিতে অংশ নিল তা নিয়ে প্রশ্ন ভাই হারুনের। মিথ্যা মামলায় গরীব সাইকেল মেকার ভাই দিনের পর দিন মাগুরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিপ্লবের অত্যচার সহ্য না করে আমার বোন তাকে তালাক দিয়েছে। সেই অপমান সহ্য না করতে না পেরে সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। মাগুরা আদালতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সে। অত্যাচারী বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।