শিরোনাম :
Logo মাগুরায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস পালিত Logo ঢাকাবাসীর প্রতি ছাত্রদলের অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ Logo শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ Logo পুলিশে সুমাইয়া জাফরিন নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই: পুলিশ সদর দপ্তর Logo খুবিতে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিকীবিদ্যা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু Logo আওয়ামী লীগ অপকর্ম করতে চাইলে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ইসলাম ও স্বাধীনতার দুশমনদের এদেশে রাজনীত করার কোনো অধিকার নেই : আল্লামা মামুনুল হক …….. আল্লামা মামুনুল হক Logo পলাশবাড়ীতে চেকপোস্টে ফেন্সিডিল ও নগদ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার মাদককারবারি Logo ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের দুই দিনব্যাপী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ Logo সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে ইবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু হয়েছে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় পাঠ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় পাঠ করছেন।

গত ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আজ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল জানান, প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছেন আদালত।

আদালতে সেদিন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান ও মো. আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

গত ১৯ জুলাই সাত খুন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আর্জি জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে।

তিনি আদালতে আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নাটের গুরু নূর হোসেন। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হতে হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করেন।

গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নূর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস পালিত

সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু হয়েছে !

আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় পাঠ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় পাঠ করছেন।

গত ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আজ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল জানান, প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছেন আদালত।

আদালতে সেদিন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান ও মো. আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

গত ১৯ জুলাই সাত খুন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আর্জি জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে।

তিনি আদালতে আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নাটের গুরু নূর হোসেন। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হতে হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করেন।

গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নূর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।