মঙ্গলবার | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩

টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে স্বস্ত্রীক পুলিশ কনস্টেবল বিজিবি’র হাতে আটক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

জিয়াবুল হক , টেকনাফ : টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে স্বস্ত্রীক এক পুলিশ সদস্য বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছেন। আটককৃত মো. এরশাদ আলম (৩০) পুলিশ সদস্য হিসেবে চকোরিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গত ৭ আগষ্ট সোমবার রাত পোনে ১২ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে এ দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় ধৃত পুলিশ সদস্য ও স্ত্রী কামরুন নাহারকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করে মামলা রুজু করে বিজিবি। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য হয়ে ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে। কিন্তু ইয়াবাসহ আটক পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হলেও তাকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে গোপনে রাখা হয়। পুলিশ সদস্য ইয়াবাসহ আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লেও টেকনাফ থানার হাজতে না রেখে পুলিশ তাকে গোপনে রাখে।
বিজিবি হোয়াইক্যং বিওপির হাবিলদার মো. হায়দর আলী শেখ জানান, গত সোমবার রাতে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোতে তল্লাাশি করে ধৃত কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে মো. এরশাদ আলম ও স্ত্রী কক্সবাজার পিএমখালী ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে কামরুন নাহারের রক্ষিত শপিং ব্যাগ হতে ৪০ টি ছোট পলিব্যাগ পাওয়া যায়। যা গননা করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২৪ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়। তবে ধৃত ব্যক্তি কোন সরকারী বাহিনীর সদস্য কিনা তা অবগত নন বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল বলেন, মামলাটি যথাযত তদন্ত করা হবে বলে জানান।
এদিকে চকোরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মো. এরশাদ আলম ৭/৮ মাস ধরে চকোরিয়া থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তবে গত ৩ দিন ধরে সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান

টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে স্বস্ত্রীক পুলিশ কনস্টেবল বিজিবি’র হাতে আটক

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ আগস্ট ২০১৭

জিয়াবুল হক , টেকনাফ : টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে স্বস্ত্রীক এক পুলিশ সদস্য বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছেন। আটককৃত মো. এরশাদ আলম (৩০) পুলিশ সদস্য হিসেবে চকোরিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গত ৭ আগষ্ট সোমবার রাত পোনে ১২ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে এ দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় ধৃত পুলিশ সদস্য ও স্ত্রী কামরুন নাহারকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করে মামলা রুজু করে বিজিবি। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য হয়ে ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে। কিন্তু ইয়াবাসহ আটক পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হলেও তাকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে গোপনে রাখা হয়। পুলিশ সদস্য ইয়াবাসহ আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লেও টেকনাফ থানার হাজতে না রেখে পুলিশ তাকে গোপনে রাখে।
বিজিবি হোয়াইক্যং বিওপির হাবিলদার মো. হায়দর আলী শেখ জানান, গত সোমবার রাতে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোতে তল্লাাশি করে ধৃত কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে মো. এরশাদ আলম ও স্ত্রী কক্সবাজার পিএমখালী ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে কামরুন নাহারের রক্ষিত শপিং ব্যাগ হতে ৪০ টি ছোট পলিব্যাগ পাওয়া যায়। যা গননা করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২৪ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়। তবে ধৃত ব্যক্তি কোন সরকারী বাহিনীর সদস্য কিনা তা অবগত নন বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল বলেন, মামলাটি যথাযত তদন্ত করা হবে বলে জানান।
এদিকে চকোরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মো. এরশাদ আলম ৭/৮ মাস ধরে চকোরিয়া থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তবে গত ৩ দিন ধরে সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও জানান।