নিউজ ডেস্ক:
চলচ্চিত্রে অভিনয় শুধু নয়, আলোচনায় থাকতে, সেলিব্রেটি তকমা গায়ে জড়াতে নানা মালমসলা দরকার হয়। এসব উপায়ের মধ্যে সবচেয়ে কাজের এমএমএস স্ক্যান্ডাল।
দ্রুত আলোচনায় আসা যায়। অনেক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজের উদ্যোগে এসব ছড়িয়ে দেন। পরে দাবি করেন এসব ফটোশপের কারসাজি, কিংবা বলেন ভিডিওতে যাকে দেখা গেছে সে তিনি নন। অন্য কেউ। কিন্তু উদ্দেশ্য যেটা থাকে সেটা তো এরইমধ্যে পূরণ হয়েই যায়। বলিউডের অভিনয়শিল্পীরা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চেয়ে এসব কারণেই বেশি আলোচনায় থাকেন। এ পর্যন্ত এমএমএস স্ক্যান্ডালে নাম জড়িয়েছেন তাদের কয়েকজন:
‘হান্টার’ গার্ল রাধিকা আপ্তে পর পর দুবার তার নগ্নতার জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি এই নায়িকার একটি ভিডিও নগ্ন ভিডিও ফাঁস হয়। ২০ মিনিটের একটি শর্ট ফিল্মের দৃশ্য ছিল সেটি। ওই ছবিটি পরিচালনা করছেন অনুরাগ ক্যাশপ। এর আগেও নগ্ন ছবি ঘিরে রাধিকাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।
সাময়িকীগুলোর প্রচ্ছদে ‘কামসূত্র থ্রিডি’ খ্যাত শার্লিন চোপড়ার অর্ধনগ্ন ছবি প্রায়ই আসে। সম্প্রতি শার্লিনের পোশাক বদলের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। বলিউডে কান পেতে শোনা গিয়েছিল শার্লিন নাকি নিজের টিআরপি বাড়াতে পাবলিসিটি স্টান্ট করেছেন।
দক্ষিণী অভিনেত্রী তৃষার প্রথম যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সেখানে তার মতই দেখতে এক সুন্দরীকে স্নানরত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। এরপরেই একটি ম্যাসাজের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও তৃষা জানিয়েছিলেন, ওই ভিডিওটি তার নয়।
শহীদ কাপুর ও তার সাবেক প্রেমিকা কারিনা কাপুরের এমএমএস ঘিরে বলিউড একসময় সরগরম ছিল। ভিডিওটি দুজনের গভীর চুম্বনের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। তাদের সম্পর্কটা এখন আর নেই তবে ওই এমএমএস এখনও রয়ে গিয়েছে।
বলিউডের ‘চিকনি চামেলি’ ক্যাটরিনা কাইফও স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছেন। এক ভিডিওতে তাকে নগ্ন হয়ে ঘুমোতে দেখা গিয়েছিল। ক্যাটরিনা জানিয়েছিলেন ওই ভিডিওটি তার নয়। কিন্তু ওই ভিডিওর কারণে একাধিক অনুষ্ঠানে অস্বস্তির শিকার হতে হয়েছিল তাকে। ২০১০ সালে ক্যাটরিনার ছোট বোন ইসাবেলের একটি সেক্স ভিডিও মুক্তি পায়।
২০০৫ সালে মল্লিকা শেরাওয়াতের একটি এমএমএস ইন্টারনেট কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তবে ওই এমএমএসে নাকি মল্লিকা ছিলেন তা ছিলেন তার মতো দেখতে মেক্সিকান পর্ণস্টার ললি।
রিয়া সেন ও অস্মিত প্যাটেলের ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও বলিউডে তোলপাড় হয়েছিল। সে সময় রিয়া ও অস্মিত চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। ওই ভিডিওটি তারা নিজেরাই করেছিলেন। পরে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায়।
বলিউডের লাস্যময়ী প্রীতি জিনতাও এমএমএস স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছিলেন। তার নগ্ন স্নানের দৃশ্য বলিউডে ঝড় তুলেছিল। যদিও পরে দেখা গিয়েছিল তার মতই দেখতে একজন ওই ভিডিও ধারণ করেছিলেন।
এমএমএস স্ক্যান্ডেলের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী মোনা সিংও। যদিও সে বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মোনা। তিনি দাবি করেছিলেন ভিডিওটি ফটোশপের কারসাজি। এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।
বলিউড কিং শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান ও অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা নন্দার একটি এমএমএস সম্প্রতি প্রকাশ পায়। পরে দুই পরিবার দাবি করে ভিডিওটি নকল ছিল। দক্ষিণী অভিনেত্রী হানসিকা মাতওয়ানির স্নানের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। হানসিকা দাবি করেছেন ভিডিওটি তার নয়। দক্ষিণের বিখ্যাত অভিনেত্রী অানুশকা শেঠিও এমএমএস স্ক্যান্ডেলের শিকার হয়েছেন। তার একটি নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল।