জিয়াবুল হক , টেকনাফ : টেকনাফ উপকুলীয় বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামপুর নতুন পাড়া এলাকার আবদুল হক মেম্বারের পুত্র মো. রাসেসের অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবহারে দৌরত্ব বেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবহারের নেপথ্যে রয়েছে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও চোরাচালানী সহ একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাস বাহিনীর গড ফাদার প্রকাশ্যে শামলাপুরের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ে রেখে হামলা, জমি দখল, নিরহ লোকজনকে মারধর করে চললেও স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এবং যুবদল নেতা রাসেল বাহিনীর অত্যাচারের অতিষ্ট এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামলাপুর নতুন পাড়া এলাকার সাবেক মেম্বার আবদুল হকের পুত্র চিহ্নিত সস্ত্রাসী ৫-৮ জন মাদক দাগী আসামী রাসেলের ছত্র-ছায়ায় স্কুল, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রদের সহ খেটে খাওয়া মেহনতী যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আছে। একজন যুবদল নেতার এত পাওয়ার এলাকাবাসীর প্রশ্ন? তাদের কারনে যুব সমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধংসের দিকে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সস্ত্রাসী যুবদল নেতা রাসেল তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে রাখে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দৃশ্যমান প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হলেও অজ্ঞাত কারনে অবৈধ সন্ত্রাস বাহিনী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা মাদক নির্মূলে কার্যকর ভুমিকা রাখেন না বলেও জানায় এলাকাবাসী। বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে যখন সোচ্চার ঠিক তখনই বিপরীত চিত্র টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায়।
সুত্রে জানা যায়, সস্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, জমি দখল, চাঁদাবাজী, চোরাচালানী সহ কক্সবাজার আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এই সন্ত্রাস বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন খাঁন জানান, টেকনাফ বাহারছড়া উপকুলীয় ইউনিয়ন হওয়ায় ওই এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী রয়েছে। কিন্তু রাসেল নামে কোন সন্ত্রাসী আমি টেকনাফ থানায় আসার পর অভিযোগ পায়নি। এলাকাবাসী যদি অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।