প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ আদালতে শরিকানা জমি জমার মামালার জের ধরে হালিধানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক মামলার বাদিকে হত্যার হুমকি ও মামালা প্রত্যাহার না করলে তার পরিবারকে হাট বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন চেয়ারম্যানের ভঁয়ে পরিবার প্রধান ৭ দিন বাড়ি ছাড়া ও তার পরিবারের হাট বাজারের যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হালিধানি ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয় গ্রামে।
জানা গেছে, গত ০৫/০৬/২০১৭ তারিখে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়িয়া গ্রামের ফকির আহাম্মেদের ছেলে আব্দুল বারেক শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার নিজ ভাই আমিন উদ্দিন ও ২ ভাই পোয়ের নামে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করে। মামলার জের ধরে আদালতের নির্দেশক্রমে ঐ জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ এবং আদালতে এই মামালার আগামী ১৮/০৭/২০১৭ শুনানি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মামালার আসামি পক্ষ আমিন শেখ গত ০৭/০৬/২০১৭ তারিখে হালিধানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট আবুল বারেকের বিরুদ্ধে এইটি অভিযোগ দায়ের করলে ইউ পি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া আব্দুল বারেককে সালিশি বৈঠকের নোটিশ প্রদান করে। আব্দুল বারেক সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ অমান্য করে শালিসে উপস্থিত না হওয়ার কারনে আবুল বারেকের পরিবারের দোকান হালিধানি বাজার থেকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন উঠিয়ে দেয়। তাছাড়া নগরবাথান বাজার ও ডাক বাংলা বাজারের দোকান উঠিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সাথে চেয়ারম্যান তাকে লোক জন দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছে যে এই মামলা না প্রত্যাহার করলে প্রয়োজনে বারেককে হত্যা করা হবে। বারেক এখন চেয়ারম্যানের ভঁয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বারেক আরও বলেন ওখানে সঠিক বিচার হবে না জেনেই আমি আদালতে মামলা করেছি। আমি আদালতের রায় মেনে নেব। সেখানে আমার মামলা প্রতাহারের জন্য বার বার আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।আমি সরকারের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবী করছি।
এই প্রসঙ্গে হালিধানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের নিকট মোবাইলে বলেন, আমি বারেককে সালিশে ডাকলে সে না এসে আমাকে অপমান করেছে। তাই আমার হাটে আমি তাকে না বসতে দিতেই পারি। তার এক ভাইয়ের জমি জোর করে দখল নিয়ে সেই ভাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। আমি তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করে দিতে চেয়েছি আর এখন ও সাংবাদিকদের নিকট নালিশ দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে এখন তো ওর বেন্ধে বাড়ানো উচিত।