শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

ষোড়শ সংশোধনী ছিল ষড়যন্ত্র ও দূরভিসন্ধিমূলক: মওদুদ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ছিল সরকারের ষড়যন্ত্র ও দূরভিসন্ধিমূলক। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের অপচেষ্টা করেছিল। আদালতের রায়ে তা নস্যাৎ হয়েছে।

বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে সোমবার হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিক্রিয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের মর্যাদা ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রইলো। ‍সরকারের দূরভিসন্ধি নস্যাৎ হলো। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের ভরসার জায়গা অটুট থাকলো।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। এতে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে- এমন যুক্তিতে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। গত বছরের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

একই বছরের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত আজ তা খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখলেন।

এর আগে গত ৩০ মে দশম দিনের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত প্রদান শেষ হয়। মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে ৯ জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

ষোড়শ সংশোধনী ছিল ষড়যন্ত্র ও দূরভিসন্ধিমূলক: মওদুদ !

আপডেট সময় : ০৮:১১:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ছিল সরকারের ষড়যন্ত্র ও দূরভিসন্ধিমূলক। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের অপচেষ্টা করেছিল। আদালতের রায়ে তা নস্যাৎ হয়েছে।

বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে সোমবার হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিক্রিয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের মর্যাদা ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রইলো। ‍সরকারের দূরভিসন্ধি নস্যাৎ হলো। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের ভরসার জায়গা অটুট থাকলো।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। এতে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে- এমন যুক্তিতে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। গত বছরের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

একই বছরের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত আজ তা খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখলেন।

এর আগে গত ৩০ মে দশম দিনের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত প্রদান শেষ হয়। মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে ৯ জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন।