শিরোনাম :
Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী Logo ফুটপাতে ভাত বিক্রেতা ভাইরাল চাঁদপুরের মিজানের সম্পত্তি ফিরে পেতে মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলো প্রাণ-আরএফএল Logo খুবির ওংকার শৃণুতা’র নেতৃত্বে খায়রুন নাহার ও কৌশিক Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি ও ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে কবর’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন Logo ইবির সাবেক প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি চলাচলের রাস্তা বদলে দিতে পারে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন,  শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের দাবি Logo সিরাজগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে ডিলারশীপ বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ Logo খুবিতে চতুর্থ নৈয়ায়িক ন্যাশনালস চ্যাম্পিয়ন যবিপ্রবি Logo রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি ও ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে কবর’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

পল্লীকবি জসীম উদদীনের ঐতিহাসিক ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন করেছে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি ও সামাজিক সংগঠন ইয়ূথ ফোরাম বাংলাদেশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় সংগীত শেষে চাঁদপুর রোটারী ভবনে বিকেল সাড়ে ৪টায় রক্তিম ফিতা কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মতো এতটা আত্মীয়বান্ধব লোক পৃথিবীর আর কোনো দেশে নাই। সে উদাহরণ আমরা কবর কবিতায়ও দেখতে পাই। তিরিশ বছর পরেও মৃত স্ত্রী ও স্বজনদের কথা স্মরণ করে একমাত্র নাতির কাছে একজন বৃদ্ধের করুণ আকুতি জানানোর চিত্র ফুটে উঠেছে এ কবিতায়। জসীম উদদীন গ্রাম অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও জীবনব্যবস্থাকে উপজীব্য করে কবিতা লিখেছেন।

ইয়ূথ ফোরাম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর রোটারিয়ান অ্যাড. আলেয়া বেগম লাকীর সভাপতিত্বে, চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জলছবি সম্পাদক কবি জামসেদ ওয়াজেদ।

তিনি বলেন, জসীম উদদীনকে শুধুমাত্র পল্লীকবি আখ্যা দিয়ে একটি গণ্ডির মধ্যে আটকিয়ে রাখা ঠিক না। তিনি বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠতম কবিদের একজন। তাঁকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করা উচিত। কবির নামে রাষ্ট্রের গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ করা উচিত।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চর্যাপদ একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মআআ মুক্তাদীর।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চাঁদপুর জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, চর্যাপদ একাডেমির সহ-সভাপতি শিউলী মজুমদার, নিয়ন্ত্রণ পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল্লা কাহাফ, সহকারী পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, বিজ্ঞান ও আইসিটি পরিচালক রাসেল ইব্রাহীম, রেলওয়ে কিন্ডারগার্ডেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, জেলা স্কাউটস সম্পাদক ফয়সাল ফরাজী, রেড ক্রিসেন্টের ফোকাল পার্সোন উপদেষ্টা ওমর বিন ইউসূফ চৌধুরী, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহ আলম, রোটারিয়ান শাহীন আক্তার, নারী উদ্যোক্তা সায়রা কাকলি, লেখক রবীন্দ্র মজুমদার ও মুদ্দাসির।

উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, জসীম উদ্দীনের প্রতিটি কবিতায় মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। কবর কবিতায় তিনি গ্রামীণ আবহে বেড়ে ওঠা এক বৃদ্ধের জীবনআখ্যান তুলে ধরছেন করুণ চিত্রকল্পের মাধ্যমে। এই কবিতার প্রতিটি উপমা-উৎপ্রেক্ষায় গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত সব উপাদানে ঠাসা।

সভাপ্রধান রোটারিয়ান অ্যাড. আলেয়া বেগম লাকী বলেন, অনুষ্ঠানটি সাজানোর আগে আমরা কবি জসীম উদ্দীনের জন্মস্থানে গিয়েছি এবং তাঁর স্মৃতিময় জায়গাগুলো পরিদর্শন করেছি। আশা করি, আগামীতেও আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নেবো।

কবিতা আবৃত্তি করেন মিজানুর রহমান স্বপন, সাকিব খান, দিপান্বিতা দাস, মোহাম্মদ শাহজালাল মিয়াজী আবেদ, আবদুর রহিম, প্রাপ্তি ও শ্রাবন্তী দাস। হাওয়াইয়ান গিটার পরিবশেন করেন খ্যাতিমান গিটারিস্ট দিলীপ ঘোষ, বাঁশি বাজান বেলাল শেখ। সোমা দত্তের পরিচালনায় জসীম উদ্দীনের গানে ও কবিতায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যধারার শিল্পীবৃন্দ।
চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল ও ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার লেখকরা অনুষ্ঠানে যোগ দান করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনকে ঘিরে আবর্তিত ছিলো। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড-এর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি ও ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে কবর’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

আপডেট সময় : ১০:০০:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫

পল্লীকবি জসীম উদদীনের ঐতিহাসিক ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন করেছে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি ও সামাজিক সংগঠন ইয়ূথ ফোরাম বাংলাদেশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় সংগীত শেষে চাঁদপুর রোটারী ভবনে বিকেল সাড়ে ৪টায় রক্তিম ফিতা কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মতো এতটা আত্মীয়বান্ধব লোক পৃথিবীর আর কোনো দেশে নাই। সে উদাহরণ আমরা কবর কবিতায়ও দেখতে পাই। তিরিশ বছর পরেও মৃত স্ত্রী ও স্বজনদের কথা স্মরণ করে একমাত্র নাতির কাছে একজন বৃদ্ধের করুণ আকুতি জানানোর চিত্র ফুটে উঠেছে এ কবিতায়। জসীম উদদীন গ্রাম অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও জীবনব্যবস্থাকে উপজীব্য করে কবিতা লিখেছেন।

ইয়ূথ ফোরাম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর রোটারিয়ান অ্যাড. আলেয়া বেগম লাকীর সভাপতিত্বে, চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জলছবি সম্পাদক কবি জামসেদ ওয়াজেদ।

তিনি বলেন, জসীম উদদীনকে শুধুমাত্র পল্লীকবি আখ্যা দিয়ে একটি গণ্ডির মধ্যে আটকিয়ে রাখা ঠিক না। তিনি বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠতম কবিদের একজন। তাঁকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করা উচিত। কবির নামে রাষ্ট্রের গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ করা উচিত।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চর্যাপদ একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মআআ মুক্তাদীর।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চাঁদপুর জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, চর্যাপদ একাডেমির সহ-সভাপতি শিউলী মজুমদার, নিয়ন্ত্রণ পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল্লা কাহাফ, সহকারী পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, বিজ্ঞান ও আইসিটি পরিচালক রাসেল ইব্রাহীম, রেলওয়ে কিন্ডারগার্ডেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, জেলা স্কাউটস সম্পাদক ফয়সাল ফরাজী, রেড ক্রিসেন্টের ফোকাল পার্সোন উপদেষ্টা ওমর বিন ইউসূফ চৌধুরী, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহ আলম, রোটারিয়ান শাহীন আক্তার, নারী উদ্যোক্তা সায়রা কাকলি, লেখক রবীন্দ্র মজুমদার ও মুদ্দাসির।

উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, জসীম উদ্দীনের প্রতিটি কবিতায় মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। কবর কবিতায় তিনি গ্রামীণ আবহে বেড়ে ওঠা এক বৃদ্ধের জীবনআখ্যান তুলে ধরছেন করুণ চিত্রকল্পের মাধ্যমে। এই কবিতার প্রতিটি উপমা-উৎপ্রেক্ষায় গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত সব উপাদানে ঠাসা।

সভাপ্রধান রোটারিয়ান অ্যাড. আলেয়া বেগম লাকী বলেন, অনুষ্ঠানটি সাজানোর আগে আমরা কবি জসীম উদ্দীনের জন্মস্থানে গিয়েছি এবং তাঁর স্মৃতিময় জায়গাগুলো পরিদর্শন করেছি। আশা করি, আগামীতেও আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নেবো।

কবিতা আবৃত্তি করেন মিজানুর রহমান স্বপন, সাকিব খান, দিপান্বিতা দাস, মোহাম্মদ শাহজালাল মিয়াজী আবেদ, আবদুর রহিম, প্রাপ্তি ও শ্রাবন্তী দাস। হাওয়াইয়ান গিটার পরিবশেন করেন খ্যাতিমান গিটারিস্ট দিলীপ ঘোষ, বাঁশি বাজান বেলাল শেখ। সোমা দত্তের পরিচালনায় জসীম উদ্দীনের গানে ও কবিতায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যধারার শিল্পীবৃন্দ।
চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল ও ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার লেখকরা অনুষ্ঠানে যোগ দান করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনকে ঘিরে আবর্তিত ছিলো। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড-এর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।