শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

যেখানে তৈরি হলো সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বলা হচ্ছে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য। একটি বিশাল ঘরে অনেকগুলো স্পটলাইট এক সঙ্গে রেখে পরীক্ষা চালাচ্ছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা।

রিনিউ করা এনার্জি হিসেবে এই আলোক শক্তিকে ব্যবহার করার পথে আছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির কোলন সিটি  থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার  দূরে জুলিচ শহরে চলছে এই পরীক্ষা। জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা এই বিশাল কৃত্রিম সূর্যের ডিজাইন করেছেন। এই প্রজেক্টের নাম তারা দিয়েছেন ‘সায়ানলাইট’।

ডিভাইসটিতে মোট ১৪৯টি বড় ফিল্ম প্রজেক্টর স্পটলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি স্পটলাইটে সাধারণ বাল্বের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার গুণ বেশি ওয়াট আছে। তাই এতগুলো স্পটলাইট যখন একসঙ্গে জ্বালানো হয়, তখন তা পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলোর চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি আলো উৎপন্ন করে। সবগুলো স্পটলাইটের আলো ৩ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি করতে পারে।

প্রতিদিন সূর্যের কাছ থেকে পাওয়া আলোকে বিভিন্নভাবেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে মানুষ। এখন সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চললেও এই সূর্যের আলোর অনেকটাই  অব্যবহৃত হয়ে আছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের এই গবেষণার মাধ্যমে অব্যবহৃত এনার্জি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। তবে এই গবেষণায় ঝুঁকি যেমন বেশি তেমনি অর্থও বেশি প্রয়োজন। কারণ যে রুমে এই পরীক্ষা চালানো হয়, সেখানে কোনো মানুষই থাকতে পারে না।  সরাসরি তীব্র আলোতে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে যে কেউ। এ ধরনের ঝুঁকি এড়াতে একটি নিরাপদ রেডিয়েশন চেম্বারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


হাইড্রোজেন গ্যাস মহাবিশ্বে প্রচুর থাকলেও পৃথিবীতে এই গ্যাসের অভাব অনেক। তাই বিজ্ঞানীরা চাচ্ছেন সূর্যের আলোকে বিশেষভাবে কাজে লাগিয়ে হাই এনার্জি রি-অ্যাকশনের মাধ্যমে তা থেকে হাইড্রোজেন সংগ্রহ করতে। সে প্রক্রিয়ার একটি অংশ এই ‘সায়ানলাইট’।

প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় ও সাড়ে তিন মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এই কৃত্রিম সূর্য তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।


এই কৃত্রিম সূর্য গবেষণায় প্রচুর এনার্জি খরচ হয়। চার ঘণ্টা ধরে যদি ওই স্পটলাইটগুলো জ্বালিয়ে রাখা হয়, তাহলে তা  একটি বাসার চার সদস্যের মানুষ পুরো বছর জুড়ে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে, সে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে। অবশ্য এই  পরীক্ষায় ভবিষ্যতের জন্য যদি আরো উপযোগী ও নিরাপদ শক্তি ব্যবহারের খোঁজ পান গবেষকরা, তবে সেসব ঝুঁকি কোনো বড় সমস্যা নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা চাচ্ছেন গাড়ি  ও বিমানের জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপন্ন করতে।

প্রকৃতিতে বেড়ে চলা কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তা কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই সায়ানলাইট প্রজেক্ট পৃথিবীর শক্তি সংকট নিরসনের পাশাপাশি মহাকাশযান বাইরে পাঠানোর প্রক্রিয়াতেও অবদান রাখতে পারবে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

যেখানে তৈরি হলো সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য !

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বলা হচ্ছে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য। একটি বিশাল ঘরে অনেকগুলো স্পটলাইট এক সঙ্গে রেখে পরীক্ষা চালাচ্ছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা।

রিনিউ করা এনার্জি হিসেবে এই আলোক শক্তিকে ব্যবহার করার পথে আছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির কোলন সিটি  থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার  দূরে জুলিচ শহরে চলছে এই পরীক্ষা। জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা এই বিশাল কৃত্রিম সূর্যের ডিজাইন করেছেন। এই প্রজেক্টের নাম তারা দিয়েছেন ‘সায়ানলাইট’।

ডিভাইসটিতে মোট ১৪৯টি বড় ফিল্ম প্রজেক্টর স্পটলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি স্পটলাইটে সাধারণ বাল্বের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার গুণ বেশি ওয়াট আছে। তাই এতগুলো স্পটলাইট যখন একসঙ্গে জ্বালানো হয়, তখন তা পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলোর চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি আলো উৎপন্ন করে। সবগুলো স্পটলাইটের আলো ৩ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি করতে পারে।

প্রতিদিন সূর্যের কাছ থেকে পাওয়া আলোকে বিভিন্নভাবেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে মানুষ। এখন সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চললেও এই সূর্যের আলোর অনেকটাই  অব্যবহৃত হয়ে আছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের এই গবেষণার মাধ্যমে অব্যবহৃত এনার্জি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। তবে এই গবেষণায় ঝুঁকি যেমন বেশি তেমনি অর্থও বেশি প্রয়োজন। কারণ যে রুমে এই পরীক্ষা চালানো হয়, সেখানে কোনো মানুষই থাকতে পারে না।  সরাসরি তীব্র আলোতে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে যে কেউ। এ ধরনের ঝুঁকি এড়াতে একটি নিরাপদ রেডিয়েশন চেম্বারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


হাইড্রোজেন গ্যাস মহাবিশ্বে প্রচুর থাকলেও পৃথিবীতে এই গ্যাসের অভাব অনেক। তাই বিজ্ঞানীরা চাচ্ছেন সূর্যের আলোকে বিশেষভাবে কাজে লাগিয়ে হাই এনার্জি রি-অ্যাকশনের মাধ্যমে তা থেকে হাইড্রোজেন সংগ্রহ করতে। সে প্রক্রিয়ার একটি অংশ এই ‘সায়ানলাইট’।

প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় ও সাড়ে তিন মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এই কৃত্রিম সূর্য তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।


এই কৃত্রিম সূর্য গবেষণায় প্রচুর এনার্জি খরচ হয়। চার ঘণ্টা ধরে যদি ওই স্পটলাইটগুলো জ্বালিয়ে রাখা হয়, তাহলে তা  একটি বাসার চার সদস্যের মানুষ পুরো বছর জুড়ে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে, সে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে। অবশ্য এই  পরীক্ষায় ভবিষ্যতের জন্য যদি আরো উপযোগী ও নিরাপদ শক্তি ব্যবহারের খোঁজ পান গবেষকরা, তবে সেসব ঝুঁকি কোনো বড় সমস্যা নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা চাচ্ছেন গাড়ি  ও বিমানের জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপন্ন করতে।

প্রকৃতিতে বেড়ে চলা কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তা কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই সায়ানলাইট প্রজেক্ট পৃথিবীর শক্তি সংকট নিরসনের পাশাপাশি মহাকাশযান বাইরে পাঠানোর প্রক্রিয়াতেও অবদান রাখতে পারবে আশা করা হচ্ছে।