শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

জেনে নিন গ্রীষ্মকালীন ফলের নানা উপকারিতা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গরম পড়তে শুরু করেছে। আর সেই সাথে চারদিকে শুরু হয়েছে নানা রোগ। তবে চিন্তার কিছু নেই! সামনেই আসছে ফলের ঋতু গ্রীষ্ম। আর এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। শুধু মুখরোচক খাবার হিসেবেই নয়– পুষ্টিগুণ, ওষুধ তৈরিসহ ফলের রয়েছে বহুমাত্রিক ব্যবহার যা সুস্থ রাখতে পারে আপনার দেহ ও মন। আসুন জেনে নেই এসব মৌসুমি ফলের নানা উপকারি দিক।

আম
স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে আম অতুলনীয়। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন। আম লিভার বা যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাঁচা ও পাকা আম অতুলনীয়।

লিচু
লিচুর রসালো অংশ তৃষ্ণা মেটাতে সহায়ক। এর আঁটি চর্মরোগে বিশেষ উপকারী। কাশি, পেটে ব্যথা ও টিউমার বৃদ্ধি রোধে লিচু অনেক উপকারী। এ দিয়ে জ্যাম তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। তবে যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের লিচু কম খাওয়াই ভালো।

বাঙ্গি
রসালো ফল হিসেবে এই ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এর পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। ভিটামিন সি, শর্করা ও সামান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ হয় এই ফলটি।

জাম
বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি ফল জাম। এই ফলের কচিপাতা পেটের অসুখ সারাতে সহায়ক। আম ও জামের রস একত্রে খেলে বহুমূত্র রোগ ভালো হয়। লোকমুখে প্রচলিত আছে, জামের রস রক্তকণিকা পরিষ্কারে সহায়তা করে।

পেঁপে
পাকা পেঁপে আরেকটি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম ফলে ভিটামিন ‘এ’ থাকে ১১১০ ইউনিট। এছাড়া থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন বি ও সি. খনিজ লবণ এবং খাদ্যশক্তি। কাঁচা পেঁপেও অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। পেঁপের সাদা আঠায় প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।

তরমুজ
গরমে ক্লান্তি দূর করতে এই ফলের তুলনা হয় না। তরমুজ তৃষ্ণা মেটায়। রক্তস্বল্পতা দূর করে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পদার্থ।

আনারস
পাকা আনারস শক্তি বাড়ায়। কফ নিরাময়ে সহায়ক, পিত্তনাশক এবং হজম বৃদ্ধি করে। এ ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কৃমি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আনারসের জ্যাম-জেলি তৈরি করেও সংরক্ষণ করা যায়।

বেল
সারা বছর পাওয়া গেলেও গরমকালে এই ফলের চাহিদা বেশি দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয় সারাতে বেল অনেক উপকারী। এই ফলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি ও চোখ জ্বালা করা রোগের উপশম হয়।

কাঁঠাল
জাতীয় ফল কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে আর পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এর দানা ভেজে কিংবা রান্না করে খেতেও মজা। এছাড়া, কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভেষজগুণ। এর শাঁস ও দানা চীনে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করে। ফলটি সাধারণত জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পাকে।

জামরুল
রসালো ও হালকা মিষ্টি জামরুল গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল। বহুমূত্র রোগীর জন্য জামরুল অনেক উপকারী। বর্তমানে সাদা, খয়েরি-লাল ও হালকা গোলাপি রংয়ের জামরুল দেখা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জেনে নিন গ্রীষ্মকালীন ফলের নানা উপকারিতা !

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গরম পড়তে শুরু করেছে। আর সেই সাথে চারদিকে শুরু হয়েছে নানা রোগ। তবে চিন্তার কিছু নেই! সামনেই আসছে ফলের ঋতু গ্রীষ্ম। আর এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। শুধু মুখরোচক খাবার হিসেবেই নয়– পুষ্টিগুণ, ওষুধ তৈরিসহ ফলের রয়েছে বহুমাত্রিক ব্যবহার যা সুস্থ রাখতে পারে আপনার দেহ ও মন। আসুন জেনে নেই এসব মৌসুমি ফলের নানা উপকারি দিক।

আম
স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে আম অতুলনীয়। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন। আম লিভার বা যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাঁচা ও পাকা আম অতুলনীয়।

লিচু
লিচুর রসালো অংশ তৃষ্ণা মেটাতে সহায়ক। এর আঁটি চর্মরোগে বিশেষ উপকারী। কাশি, পেটে ব্যথা ও টিউমার বৃদ্ধি রোধে লিচু অনেক উপকারী। এ দিয়ে জ্যাম তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। তবে যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের লিচু কম খাওয়াই ভালো।

বাঙ্গি
রসালো ফল হিসেবে এই ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এর পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। ভিটামিন সি, শর্করা ও সামান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ হয় এই ফলটি।

জাম
বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি ফল জাম। এই ফলের কচিপাতা পেটের অসুখ সারাতে সহায়ক। আম ও জামের রস একত্রে খেলে বহুমূত্র রোগ ভালো হয়। লোকমুখে প্রচলিত আছে, জামের রস রক্তকণিকা পরিষ্কারে সহায়তা করে।

পেঁপে
পাকা পেঁপে আরেকটি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম ফলে ভিটামিন ‘এ’ থাকে ১১১০ ইউনিট। এছাড়া থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন বি ও সি. খনিজ লবণ এবং খাদ্যশক্তি। কাঁচা পেঁপেও অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। পেঁপের সাদা আঠায় প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।

তরমুজ
গরমে ক্লান্তি দূর করতে এই ফলের তুলনা হয় না। তরমুজ তৃষ্ণা মেটায়। রক্তস্বল্পতা দূর করে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পদার্থ।

আনারস
পাকা আনারস শক্তি বাড়ায়। কফ নিরাময়ে সহায়ক, পিত্তনাশক এবং হজম বৃদ্ধি করে। এ ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কৃমি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আনারসের জ্যাম-জেলি তৈরি করেও সংরক্ষণ করা যায়।

বেল
সারা বছর পাওয়া গেলেও গরমকালে এই ফলের চাহিদা বেশি দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয় সারাতে বেল অনেক উপকারী। এই ফলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি ও চোখ জ্বালা করা রোগের উপশম হয়।

কাঁঠাল
জাতীয় ফল কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে আর পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এর দানা ভেজে কিংবা রান্না করে খেতেও মজা। এছাড়া, কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভেষজগুণ। এর শাঁস ও দানা চীনে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করে। ফলটি সাধারণত জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পাকে।

জামরুল
রসালো ও হালকা মিষ্টি জামরুল গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল। বহুমূত্র রোগীর জন্য জামরুল অনেক উপকারী। বর্তমানে সাদা, খয়েরি-লাল ও হালকা গোলাপি রংয়ের জামরুল দেখা যায়।