নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী।
দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ এবং জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কারণেই স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা অঞ্চলে সিমকী ইমাম খানের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো। এসব প্রচারণায় ফুটে উঠেছে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও জনসম্পৃক্ততা।
২০১৪ সালের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ আন্দোলনে রাজপথে সাহসী ভূমিকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি প্রশংসিত হন। দমন-পীড়নের সময় দলের কর্মীদের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দেওয়াসহ নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন এক অভিভাবকের মতো।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগেও সক্রিয় রয়েছেন অ্যাড. সিমকী ইমাম খান। তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, চিকিৎসা খাতে অনুদান, এবং ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন অবিরাম।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। তখন থেকেই এলাকাভিত্তিক সাংগঠনিক তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান বলেন, আমি রাজনীতি করি দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দলের সুসময়ে যেমন পাশে ছিলাম, দুঃসময়েও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।
স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মতে, বিএনপি যদি একজন শিক্ষিত, সাহসী এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন নারী নেত্রীকে মনোনয়ন দিতে চায়, তবে অ্যাড. সিমকী ইমাম খান হতে পারেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে দলের বিজয়ের সম্ভাব্য মুখ।