শিরোনাম :
Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo লস্কর সিনেমার গানে জীবন ওয়াসিফ ও শেরপুরের কলি সাহা Logo সিরাজগঞ্জে এতিমদের জমি দখলে প্রভাবশালীদের টানাটানি Logo চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি সম্পাদিত ছোট কাগজ জানালা’র মোড়ক উন্মোচন Logo একসময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সফিউল্লাহ এখন রিক্সা–সাইকেল মেকানিক Logo শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে: বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া ইত্তেফাক ডিজিটাল রিপোর্ট

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রলবোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার।

পরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, ঘটনার সময় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন, ফলে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। এ প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায়ও খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় প্রাথমিকভাবে ৩২ জনের নাম থাকলেও পরে আরও ১০ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলারও বাদী ছিলেন এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার। তদন্তে খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।

জেলা পিপি আরও জানান, মামলাগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দায়ের হয়েছিল—এমন যুক্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করায় মামলাগুলো এখন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফলে বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম থানায় বেগম খালেদা জিয়া বা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া ইত্তেফাক ডিজিটাল রিপোর্ট

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রলবোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার।

পরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, ঘটনার সময় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন, ফলে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। এ প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায়ও খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় প্রাথমিকভাবে ৩২ জনের নাম থাকলেও পরে আরও ১০ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলারও বাদী ছিলেন এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার। তদন্তে খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।

জেলা পিপি আরও জানান, মামলাগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দায়ের হয়েছিল—এমন যুক্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করায় মামলাগুলো এখন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফলে বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম থানায় বেগম খালেদা জিয়া বা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।