শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

উপদেষ্টা মাহফুজ সম্পর্কে অজানা তথ্য দিলেন তার শিক্ষক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একজন বই পড়ার অদম্য আগ্রহী মানুষ। তার শিক্ষক আব্দুর রব জানান, মাহফুজ আলমের বই পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই ছিল। একসময়, যখন তার কাছে থাকা বই শেষ হয়ে যেত, তখন তিনি সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তেন। বই ছিল তার পৃথিবী, আর নতুন নতুন বই পড়া ছিল তার শখ।

শিক্ষক আব্দুর রব, যিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও ড. ফয়জুল হক-এর শিক্ষক, বলেন যে ২০১৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের ব্যাচটি মাদ্রাসার ইতিহাসে সবচেয়ে মেধাবী ছিল। ওই বছর মাহফুজ আলম, তার ভাই মাহবুব আলম এবং শিক্ষকের ছোট ভাইসহ ৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিল এবং মাদ্রাসার সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল।

তিনি জানান, মাহফুজের বই পড়ার অভ্যাস ছিল এমন যে, মাদ্রাসায় ক্লাসে নির্ধারিত বইয়ের বাইরে কোনো বই আনার নিষেধ থাকলেও, মাহফুজ লুকিয়ে লুকিয়ে বাড়তি বই নিয়ে আসতেন এবং ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সেগুলি পড়তেন। তার বই পড়ার নেশাই ছিল নতুন নতুন বই সংগ্রহ করা এবং তার মধ্যে থেকে জ্ঞান আহরণ করা।

মাহফুজ আলম প্রাচীন বিষয় নিয়ে বেশি পড়াশোনা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ার সময়েও ইতিহাসের ওপর বিশেষ আগ্রহ ছিল এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু বই লিখেছিলেন। তার শিক্ষক জানান, ৬ মাস আগে মাহফুজ তাকে ফোন করে পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত ‘তাবলিকা’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে শুরু করে সব সংখ্যা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেছিলেন, কারণ তিনি এগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন।

শিক্ষক আরও বলেন, মাহফুজ শুধুমাত্র বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতেন না, তিনি একজন মানবিক মানুষও ছিলেন। সহপাঠী, বন্ধু এবং আশপাশের লোকজনের বিপদে তিনি সবসময় সহযোগিতা করতেন। তার এই সহানুভূতি ও শালীনতা তাকে সকলের কাছে প্রিয়পাত্র করে তুলেছিল।

মাহফুজ আলমের জীবনের পথচলাই প্রমাণ করে যে, বইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহ তাকে শুধু একজন জ্ঞানী ব্যক্তিত্বই করেনি বরং সমাজের প্রতি তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিও গড়ে তুলেছে। তার বিচক্ষণতাই তাবে আজ এত বড় পদে আসীন করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

উপদেষ্টা মাহফুজ সম্পর্কে অজানা তথ্য দিলেন তার শিক্ষক

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একজন বই পড়ার অদম্য আগ্রহী মানুষ। তার শিক্ষক আব্দুর রব জানান, মাহফুজ আলমের বই পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই ছিল। একসময়, যখন তার কাছে থাকা বই শেষ হয়ে যেত, তখন তিনি সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তেন। বই ছিল তার পৃথিবী, আর নতুন নতুন বই পড়া ছিল তার শখ।

শিক্ষক আব্দুর রব, যিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও ড. ফয়জুল হক-এর শিক্ষক, বলেন যে ২০১৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের ব্যাচটি মাদ্রাসার ইতিহাসে সবচেয়ে মেধাবী ছিল। ওই বছর মাহফুজ আলম, তার ভাই মাহবুব আলম এবং শিক্ষকের ছোট ভাইসহ ৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিল এবং মাদ্রাসার সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল।

তিনি জানান, মাহফুজের বই পড়ার অভ্যাস ছিল এমন যে, মাদ্রাসায় ক্লাসে নির্ধারিত বইয়ের বাইরে কোনো বই আনার নিষেধ থাকলেও, মাহফুজ লুকিয়ে লুকিয়ে বাড়তি বই নিয়ে আসতেন এবং ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সেগুলি পড়তেন। তার বই পড়ার নেশাই ছিল নতুন নতুন বই সংগ্রহ করা এবং তার মধ্যে থেকে জ্ঞান আহরণ করা।

মাহফুজ আলম প্রাচীন বিষয় নিয়ে বেশি পড়াশোনা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ার সময়েও ইতিহাসের ওপর বিশেষ আগ্রহ ছিল এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু বই লিখেছিলেন। তার শিক্ষক জানান, ৬ মাস আগে মাহফুজ তাকে ফোন করে পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত ‘তাবলিকা’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে শুরু করে সব সংখ্যা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেছিলেন, কারণ তিনি এগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন।

শিক্ষক আরও বলেন, মাহফুজ শুধুমাত্র বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতেন না, তিনি একজন মানবিক মানুষও ছিলেন। সহপাঠী, বন্ধু এবং আশপাশের লোকজনের বিপদে তিনি সবসময় সহযোগিতা করতেন। তার এই সহানুভূতি ও শালীনতা তাকে সকলের কাছে প্রিয়পাত্র করে তুলেছিল।

মাহফুজ আলমের জীবনের পথচলাই প্রমাণ করে যে, বইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহ তাকে শুধু একজন জ্ঞানী ব্যক্তিত্বই করেনি বরং সমাজের প্রতি তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিও গড়ে তুলেছে। তার বিচক্ষণতাই তাবে আজ এত বড় পদে আসীন করেছে।