নিউজ ডেস্ক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড ‘কারাগারের রোজনামচা’ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে গণভবনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থটির দুই কপি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হাতে তুলে দেন।
৩৩২ পৃষ্ঠার বইটিতে বঙ্গবন্ধুর ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত কারাস্মৃতি স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আত্মজীবনীর এই দ্বিতীয় গ্রন্থটি ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জেল জীবন নিয়ে বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।বইটি হাতে নিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার প্রতিদিনের রাজনৈতিক ও অন্যান্য কার্যক্রম ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করতেন। এমনকি কারাজীবনেও তিনি এটা অনুশীলন করতেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার সময় পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুর লেখা ছয়টি ডায়েরি জব্দ করে। পরে চার ডায়েরি ফেরত দেয়।
অবশিষ্ট দুইটি ডায়েরির একটি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্পেশাল ব্রাঞ্চের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালের বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে লুটপাটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা জাতির পিতার লেখা খাতাগুলো খুব যত্ম সহকারে সংরক্ষণ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর সংরক্ষিত লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখায় মরহুম বেবি মওদুদের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর চীন সফর ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার নিয়ে সহসাই আত্মজীবনীর আরও দুটি খণ্ড প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রথম খণ্ড হলো ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।
বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় আত্মজীবনী প্রকাশ প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে এবং এরপর বাংলা একাডেমির বুক স্টলগুলোতে তা পাওয়া যাবে।
গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফখরুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।