রবিবার | ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী 

একুশে বইমেলার ডাস্টবিনে হাসিনার গ্রাফিতি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অমুর একুশে বইমেলায় গিয়ে শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিলে নানা আলোচনার জন্ম দেয়। সেই আলোচনায় ফের ঘি ঢাললেন তিনি। পরবর্তীতে সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেললেও রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিয়ে ক্লিয়ার বার্তা দেন।

তার স্ট্যাটাসের অর্থ অনেকটা এমন—অন্তর্বর্তী সরকার কেবলমাত্র তার অংশীদারদের প্রতি নিরপেক্ষ-যারা ছাত্র ও যারা শুধু গণজাগরণে নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চুরি যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার সেই দলের বিরুদ্ধে কঠোর ও অবিচল অবস্থানে রয়েছে, যারা নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল, মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ করেছিল এবং ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো জুলাই মাসের গণজাগরণে বিক্ষোভকারীদের হত্যাকারীদের বিচার করা। আমাদের কাজ হলো বাংলার কসাই শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও একুশে বইমেলায় গিয়ে শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আসিফ লিখেছেন, ‘নগরবাসী! যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না, উপযুক্ত স্থানে ফেলুন। (সিটি কর্পোরেশন গুলোর পক্ষ থেকে একটি কমার্শিয়াল)।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার বিষয়েও নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বইমেলায় আসা সাধারণ জনগণ। কেউ নাক মুছে টিস্যু ফেলছেন কেউ আবার জুতা দিয়ে আঘাত করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

একজন বলেছেন, ‘এখন আর হাসিনাকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারছি না, ডাস্টবিনটাও মনে হয় ধারণ করতে পারছে না তাও আমরা সেখানে রেখে দিয়েছি’।

কেউ বলেছেন, ‘বর্তমান যে চেতনা সেটার সাথে পারফেক্টলি যাচ্ছে’।

ঘৃণার সুরে আবার কেউ বলেছেন, ‘ময়লার বাক্সে হাসিনার চেহারাটা সুইটেবল মনে করছে, তাই পোস্টার লাগানো হয়েছে’।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইমেলায় দর্শনার্থীরা বলছেন, যেন ভবিষ্যতে হাসিনার মতো আর কোনো একনায়কতন্ত্র এমন স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

একুশে বইমেলার ডাস্টবিনে হাসিনার গ্রাফিতি

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অমুর একুশে বইমেলায় গিয়ে শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিলে নানা আলোচনার জন্ম দেয়। সেই আলোচনায় ফের ঘি ঢাললেন তিনি। পরবর্তীতে সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেললেও রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিয়ে ক্লিয়ার বার্তা দেন।

তার স্ট্যাটাসের অর্থ অনেকটা এমন—অন্তর্বর্তী সরকার কেবলমাত্র তার অংশীদারদের প্রতি নিরপেক্ষ-যারা ছাত্র ও যারা শুধু গণজাগরণে নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চুরি যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার সেই দলের বিরুদ্ধে কঠোর ও অবিচল অবস্থানে রয়েছে, যারা নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল, মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ করেছিল এবং ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো জুলাই মাসের গণজাগরণে বিক্ষোভকারীদের হত্যাকারীদের বিচার করা। আমাদের কাজ হলো বাংলার কসাই শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও একুশে বইমেলায় গিয়ে শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আসিফ লিখেছেন, ‘নগরবাসী! যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না, উপযুক্ত স্থানে ফেলুন। (সিটি কর্পোরেশন গুলোর পক্ষ থেকে একটি কমার্শিয়াল)।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার বিষয়েও নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বইমেলায় আসা সাধারণ জনগণ। কেউ নাক মুছে টিস্যু ফেলছেন কেউ আবার জুতা দিয়ে আঘাত করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

একজন বলেছেন, ‘এখন আর হাসিনাকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারছি না, ডাস্টবিনটাও মনে হয় ধারণ করতে পারছে না তাও আমরা সেখানে রেখে দিয়েছি’।

কেউ বলেছেন, ‘বর্তমান যে চেতনা সেটার সাথে পারফেক্টলি যাচ্ছে’।

ঘৃণার সুরে আবার কেউ বলেছেন, ‘ময়লার বাক্সে হাসিনার চেহারাটা সুইটেবল মনে করছে, তাই পোস্টার লাগানো হয়েছে’।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইমেলায় দর্শনার্থীরা বলছেন, যেন ভবিষ্যতে হাসিনার মতো আর কোনো একনায়কতন্ত্র এমন স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।