আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তর আমৃত্যু কারাদণ্ড

0
8

নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আরজি কর মামলায় তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেও শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে জরিমানা করেছে ৫০ হাজার টাকা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাবাজার পত্রিকা।

জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত। এ ছাড়াও ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ এবং হত্যার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।’

এদিন সাজা ঘোষণার আগে আবারও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত বলেন, ‘আমি খুন বা ধর্ষণ কোনটাই করিনি। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি ধর্ষণ-খুন করে থাকতাম, তাহলে কি রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যাই। আমি কিছু করিনি।’

উত্তরে বিচারক বলেন, ‘কী হয়েছে, সেটা আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না। সিবিআই যা প্রমাণ দিয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিত, আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক।’

এসময় নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে বলে জানায় বিচারক।

বিচারক বলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার রুপি জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে।

সাজা ঘোষণার পরই নির্যাতিতার মা-বাবা এজলাসে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না, আমরা বিচার চাই। জবাবে বিচারক বলেন, ‘আমি জানি আপনারা ক্ষতিপূরণ চান না। তবে আইনের বিধান অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর এই অর্থ নিয়ে কী করবেন, তা আপনাদের বিষয়।’

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ। জানা যায়, নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয় সেই তরুণী চিকিৎসককে। গত ১৮ জানুয়ারি সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। সোমবার সেই মামলায় সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করে শিয়ায়লদা আদালত। এর আগে গত ৪ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করেছিল সিবিআই। ১১ নভেম্বর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আর গত ৯ জানুয়ারি তা শেষ হয়েছিল।