শিরোনাম :
Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Logo ইবিতে যোগ হচ্ছে ইলেকট্রিক কার সেবা Logo সংযোগ সড়কহীনতায় দুর্ভোগে উত্তর সেঙ্গুয়া-আশারকোটা এলাকার মানুষ” Logo রাকসুতে গণযোগাযোগ বিভাগ থেকেই লড়বেন ভিপিসহ ২২ জন প্রার্থী Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে চার কমিশন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে গঠিত কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচনব্যবস্থা এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানরা এই প্রতিবেদন জমা দেবেন। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনকে ১০০-তে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এসব আসনে দলীয় সমঝোতার পরিবর্তে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, তিন শ আসনের মধ্যে লটারি করে ১০০টি নির্ধারণ করা হবে, যেখানে কেবল নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পরবর্তী দুই সংসদে পর্যায়ক্রমে বাকি দুই শ আসনে নারীদের ভোট হবে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি’।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, “বর্তমানে সংরক্ষিত আসনে নারীরা দলীয় সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচিত হন, যা নারীর ক্ষমতায়নে বড় বাধা। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নারী প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন, যা তাদের ক্ষমতায়নকে বাস্তব অর্থে নিশ্চিত করবে।”

সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, “এই পদ্ধতির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তিনটি সংসদ নির্বাচনে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। অতীতে দলীয় সিদ্ধান্তে সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে সেটি আর থাকছে না।”

১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সংসদের আসন সংখ্যা তিন শ নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন যোগ করা হয়। এই আসনগুলোও দলীয় সমঝোতার মাধ্যমে বণ্টন করা হতো। তবে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, দলীয় ইচ্ছার পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে নারীদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে নারীর ক্ষমতায়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে চার কমিশন

আপডেট সময় : ১০:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে গঠিত কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচনব্যবস্থা এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানরা এই প্রতিবেদন জমা দেবেন। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনকে ১০০-তে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এসব আসনে দলীয় সমঝোতার পরিবর্তে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, তিন শ আসনের মধ্যে লটারি করে ১০০টি নির্ধারণ করা হবে, যেখানে কেবল নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পরবর্তী দুই সংসদে পর্যায়ক্রমে বাকি দুই শ আসনে নারীদের ভোট হবে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি’।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, “বর্তমানে সংরক্ষিত আসনে নারীরা দলীয় সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচিত হন, যা নারীর ক্ষমতায়নে বড় বাধা। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নারী প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন, যা তাদের ক্ষমতায়নকে বাস্তব অর্থে নিশ্চিত করবে।”

সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, “এই পদ্ধতির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তিনটি সংসদ নির্বাচনে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। অতীতে দলীয় সিদ্ধান্তে সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে সেটি আর থাকছে না।”

১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সংসদের আসন সংখ্যা তিন শ নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন যোগ করা হয়। এই আসনগুলোও দলীয় সমঝোতার মাধ্যমে বণ্টন করা হতো। তবে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, দলীয় ইচ্ছার পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে নারীদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে নারীর ক্ষমতায়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।