ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রয়োজনের তুলনায় অল্প সংখ্যক শিক্ষক দিয়েই চলছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সাতটি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে অনুষদটির বিভাগীয় সভাপতি ও সিনিয়র শিক্ষকরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)অনুষ্ঠিত ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি।
মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্কর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী, সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরাও অংশ নেন।
ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি বলেন, “সামনে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং থাকায় আমরা সম্মিলিতভাবে অনুষদভুক্ত বিভাগের একাডেমিক এজেন্ডা, সমস্যা ও উত্তরণের পথ নিয়ে আলোচনা করেছি। শিক্ষক সংকটের কারণে বিভাগের করুণ চিত্র উঠে এসেছে। আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে মিটিং করে এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করব, যাতে তিনি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেন।”
তিনি আরও জানান, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে অনুষদভুক্ত সাতটি বিভাগে তীব্র শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। সীমিত সংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক ও অন্য বিভাগ থেকে ধার করা শিক্ষক দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বিভাগীয় সভাপতিদের অভিযোগ— বারবার চাহিদা পাঠালেও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিয়োগ কার্যক্রম থেমে আছে।
কিছু কিছু বিভাগে এক শিক্ষককে একাধিক কোর্স পড়াতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।