বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

আগস্টের পর বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা নয়, মুসলিমরাই বেশি ভারতে গেছেন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৩৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে ৭১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছেন, যাদের মধ্যে ৪১৫ জন মুসলিম এবং ৩০১ জন হিন্দু।

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিএসএফের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালে এই সময়কালে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এটি উল্লেখযোগ্য নয়। পুরো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের ধরন একই রকম থাকলেও, হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা খুবই কম, যা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের আখ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিএসএফের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুব কম সংখ্যক হিন্দু অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার হওয়ার দাবি করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার প্রধান কারণগুলো পারিবারিক বা ব্যবসায়িক প্রয়োজন এবং ভিসা পেতে জটিলতা।

বিশ্লেষকরা এই পরিসংখ্যান দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ, হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেশি থাকার প্রচারণা ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দীর্ঘদিনের আখ্যান। তবে বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, এই আখ্যানটি বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

অনুপ্রবেশ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা:
২০২৩ এবং ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অনুপ্রবেশ সামান্য বেড়েছে। ২০২৩ সালে একই সময়ে ২০৩ জন হিন্দু এবং ৪৪৯ জন মুসলিম, এবং ২০২২ সালে ১১৪ জন হিন্দু এবং ২৯৮ জন মুসলিম ধরা পড়েন। তবে, ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা পুরো চিত্র তুলে ধরতে যথেষ্ট নয়, কারণ অনেকেই সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে ভারতে প্রবেশ করতে সক্ষম হন।

বিশ্লেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যের মতে, এই পরিসংখ্যান ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হিন্দু নির্যাতনের আখ্যানকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের ব্যাপক পলায়নের প্রচারণা ছিল অতিরঞ্জিত। এই সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, অনুপ্রবেশের প্রকৃত বাস্তবতা তেমন নয়।”

বিএসএফের কর্মকর্তারা সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন। তবে, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা অনুপ্রবেশের প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

আগস্টের পর বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা নয়, মুসলিমরাই বেশি ভারতে গেছেন

আপডেট সময় : ০১:২১:৩৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫

আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে ৭১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছেন, যাদের মধ্যে ৪১৫ জন মুসলিম এবং ৩০১ জন হিন্দু।

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিএসএফের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালে এই সময়কালে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এটি উল্লেখযোগ্য নয়। পুরো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের ধরন একই রকম থাকলেও, হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা খুবই কম, যা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের আখ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিএসএফের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুব কম সংখ্যক হিন্দু অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার হওয়ার দাবি করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার প্রধান কারণগুলো পারিবারিক বা ব্যবসায়িক প্রয়োজন এবং ভিসা পেতে জটিলতা।

বিশ্লেষকরা এই পরিসংখ্যান দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ, হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেশি থাকার প্রচারণা ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দীর্ঘদিনের আখ্যান। তবে বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, এই আখ্যানটি বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

অনুপ্রবেশ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা:
২০২৩ এবং ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অনুপ্রবেশ সামান্য বেড়েছে। ২০২৩ সালে একই সময়ে ২০৩ জন হিন্দু এবং ৪৪৯ জন মুসলিম, এবং ২০২২ সালে ১১৪ জন হিন্দু এবং ২৯৮ জন মুসলিম ধরা পড়েন। তবে, ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা পুরো চিত্র তুলে ধরতে যথেষ্ট নয়, কারণ অনেকেই সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে ভারতে প্রবেশ করতে সক্ষম হন।

বিশ্লেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যের মতে, এই পরিসংখ্যান ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হিন্দু নির্যাতনের আখ্যানকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের ব্যাপক পলায়নের প্রচারণা ছিল অতিরঞ্জিত। এই সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, অনুপ্রবেশের প্রকৃত বাস্তবতা তেমন নয়।”

বিএসএফের কর্মকর্তারা সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন। তবে, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা অনুপ্রবেশের প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।