শিরোনাম :
Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ Logo কচুয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ Logo সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস Logo ইবি উপাচার্যের বক্তৃতায় মুখরিত মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সেমিনার

মৃত্যুপুরী গাজায় নিহত ছাড়াল সাড়ে ৪৩ হাজার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বর হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির হামলায় এখনো দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। প্রতিদিন ইসরায়েলি বোমায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি। আহতের সারিও লম্বা হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ইতোমধ্যে প্রাণহানি সাড়ে ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের একটি সিস্টেম্যাটিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি এবং এ ঘটনায় যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের স্বাধীন দুর্ভিক্ষ পর্যালোচনা কমিটি সতর্ক করেছে যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে এবং মাসব্যাপী ইসরায়েলি সামরিক অবরোধের মধ্যে ‘এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি প্রশমিত করতে’ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, তারা ৮ হাজার ১১৯ জন নিহতের তথ্য যাচাই করেছে। এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিসংখ্যানের তুলনায় অনেক কম হলেও উভয় পক্ষই বলেছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ৫-৯ বছর বয়সী শিশুরা। নিহতদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স মাত্র একদিন এবং সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটি ছিলেন ৯৭ বছরের এক নারী।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ 

মৃত্যুপুরী গাজায় নিহত ছাড়াল সাড়ে ৪৩ হাজার

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বর হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির হামলায় এখনো দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। প্রতিদিন ইসরায়েলি বোমায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি। আহতের সারিও লম্বা হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ইতোমধ্যে প্রাণহানি সাড়ে ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের একটি সিস্টেম্যাটিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি এবং এ ঘটনায় যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের স্বাধীন দুর্ভিক্ষ পর্যালোচনা কমিটি সতর্ক করেছে যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে এবং মাসব্যাপী ইসরায়েলি সামরিক অবরোধের মধ্যে ‘এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি প্রশমিত করতে’ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, তারা ৮ হাজার ১১৯ জন নিহতের তথ্য যাচাই করেছে। এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিসংখ্যানের তুলনায় অনেক কম হলেও উভয় পক্ষই বলেছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ৫-৯ বছর বয়সী শিশুরা। নিহতদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স মাত্র একদিন এবং সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটি ছিলেন ৯৭ বছরের এক নারী।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।